সোনা, তুমি হীনা আমি ঈষদ্বিকসিত
গোলাপ, র্নিজলা নীরজ।
তব কেশগুচ্ছে বসন্তের আলপনা,
শত শত নব কলিকার আড়ঙ্গ।
তব সমীপে সর্ব ভূতলশায়ী
ও তৃষ্ণার্ত তৃণের কলেবরে শ্বাসের
সঞ্চার, তুমি তেজোনিধি, সোনা।
হে হৃদিকাসুত, হে শৈলসুতা দেবী
তোমার মধুস্মৃতি রচিত
সকল জীব ও জড়তার হৃদয়পাতায়।
সোনা, তুমি হৃদয়জ!
পুষ্পবক্ষে রক্ষিতা মধুনিস্যন্দ,
তুমি মোর উপস্থিত বর্তমান, সমাপিত,
এবং ভবিষ্যদ্দ্যোতক:
সোনা, তুমি ক্রান্তদর্শী, সর্বজ্ঞ।
তবে আঁকিবো যে তব শুভানন-
সোনা, আমি অপরাগ, ক্ষমাপ্রার্থী-
মোর কাব্যতল্পিটায় শব্দ অল্প,
তবে তোমায় নিয়ে লেখা এই সিন্ধুগাথা
ছমছমিয়ে উঠবে বেজে তোমার
পায়ের নূপুর হয়ে।