একদিন অনুষ্ঠিত হয়েছিল অঙ্কন প্রতিযোগিতা
উপস্থিত ছিলেন সেথায় বিশিষ্ট ব্যক্তিরা।
পুষ্পমধু আঁকলেন প্রজাপতির ঠ্যাঙ্
দেখে আবিষ্ট হলেন এক বিচারক নাম তাঁর ব্যাঙ।
মধুরাস্বাদ অঙ্কন করলেন ঘাস ফড়িং
এই প্রথমবার দেখা গেল ফড়িং এর বড় বড় শিং।
জ্ঞানময় ভাবলেন আমি তো জ্ঞানী
যাহাই আঁকি না কেন সকলে অম্লান আমি জানি।
এক বিশারদ হাতে নিলেন একমুঠো বালি
বিচারকমন্ডলীর এবার নিরতিশয় হাততালি--
ভাবলেন এ চিত্র হবে এক অভিনব সৃষ্টি
যা কেঁড়ে নেবে সবার ঠাহর বা দৃষ্টি:
ছুঁড়ে দিলেন বালি শূন্য আকাশে
ছবি হয়নি কিন্তু ভেসে গিয়েছিল চেতনাহীন বাতাসে।


সবার শেষে হাজির হলেন এক প্রজাপতি
দেহ বর্ণহীন, কৃষকায় নেই কোনো তার কীর্তি,
তিনি আঁকলেন এক বিমূর্ত ছবি
হৃদয়ের অনুভূতির রঙে -- যেন এক কবি:
ছবি হতে লাগলো প্রকট মননের গভীরে
রুদ্ধ হৃদয়-স্পন্দন এবার উঠলো শিহরে।
হঠাৎ উচ্চৈ:স্বরে বললেন বিচারক--
"তোমার এ ছবি ভাঙা কাঁচের মতই নিরর্থক।
সবই মান্য হবে ছবি যদিও আঁকো বৃক্ষশূন্য বন
তোমার নামের আগে থাকে যদি হীরকনির্মিত বিশেষণ"।