বুঝতে শিখেছে আজকের জনতা
     ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


     আর কতদিন তোমরা লোহিত রক্ত-মাংসখেকো
     পশুর মত  হিংস্র থাকবে?  কেবল আমাকে  নয়,
     আমার  মত  নিরীহ  খেটে  খাওয়া  গরিব-দুঃখী
     মানুষ হচ্ছে প্রতিনিয়ত তোমাদের শিকার।
     করছো ক্ষতবিক্ষত,দাসত্ব বহন করে মরছি অকালে।


     ক্ষুধা-দরিদ্রতা-বেদনার জ্বালা বুকে নিয়ে যখনি
     ছুটে চলি দিক-দিগন্তে,ভিক্ষারি হয়ে ঘুরি দ্বারে-
     দ্বারে, তখন  তোমরা  আমাদের  দুর্বলতা কে
     কেন্দ্র করে, করছো ব্যবহার। ভিক্ষা নাই বা দাও,
     তবে কুকুর লেলিয়ে প্রাণ কেড়ে নিও না।


     জানি তোমাদের অর্থ আছে, শক্তি-সামর্থ্য আছে,
     আছে জনবল। রাজনীতি-কূটনীতি করো দখলদারি,
     মানুষকে বকা বানিয়ে করছো রাজ্য ভোগের ব্যবসা।
     লুট-অপহরণ-চুরি-ডাকাতি-জনতার রক্ত চুষে বেঁচে
     আছো, সব জানি --
     তবু প্রতিবাদ করতে গেলে প্রাণ দিতে হয়।


     আর বিচার সেতো অন্ধ, সত্য রহস্য এখন কালো
     টাকায় চাঁপা পড়ে গেছে।
     আইন-শৃঙ্খলা বিনষ্ট হয়েছে, আজ কেবল শক্তি
    এবং সামর্থ্যের জয় হয়।
    তোমরা বুকে হাত রেখে বলতে পারো, লুণ্ঠন-
    অপহরণ-চুরি এবং জনতার সম্পদ আত্মসাৎ করো না?
    তবে কি ভাবে স্বদেশে ন্যায় এবং সত্য প্রতিষ্ঠা হবে?


     যে দেশের রাজা অসৎ-অধর্মী এবং লোভী হয়,
     সে দেশের জনতাও উৎশৃংখল হয়ে ওঠে।
     জানি-তোমরা আমাদের খেয়ে, আমাদের করুণায়
     বেচে আছো। তবে জনসম্মুখে ভদ্রতার মুখোশ পরে,
     কেন বলো আমি দেশ সেবক, জনতার প্রাণ হতে চাই,
     সুখে-দুঃখে কাঁদতে চাই?


     সব জানি, তবু তোমাদের করি যথেষ্ট সম্মান-শ্রদ্ধা।
     কেননা তোমরা লক্ষ কটি জনতার হৃদয়ের আশা,
     আর আশা কখনো ভালো-মন্দের বিচার করে না,
     সে কেবল সম্মুখে এগিয়ে যায় উপকৃত হওয়ার প্রার্থনায়।


     কিন্তু সব আজ মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে, শাসন-শোষণ-
    -অত্যাচার-ক্ষুধা-দারিদ্র-খুন-গুম-ধর্ষণ ছড়িয়ে পড়েছে
     চারিদিকে। তাই বুঝতে শিখেছে আজকের জনতা,
     জেনেছেতোমাদের চরিত্র কথা। আমরা শান্তি চাই,
     আর শান্তির জন্য সংঘর্ষ  করতেও প্রস্তুত।



রচনাকাল, ২৪ নভেম্বর ২০২০ খ্রিস্টাব্দ,
৮ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, মঙ্গলবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।