যুদ্ধ
   ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


১/ রাষ্ট্র বা ব্যক্তিগত পরিস্থিতি যতই কঠিন হোকনা কেন,
যুদ্ধকে এড়িয়ে চোলাই সবচেয়ে জ্ঞানী এবং বুদ্ধি মানের
কাজ।
কেননা যুদ্ধ মানেই অসংখ্য মানুষ বা জীবের অকাল মৃত্যু,
বিধবা নারীর ক্রন্দন, রক্তের স্রোত, পচা দুর্গন্ধ, পৃথিবী জুড়ে
হা-হাঁকার, বিধ্বংস দারিদ্র্যতার ভয়ানক ছবি।


২/ তাই বলে আঘাতের যে কোন প্রতিঘাত হবে না,
তা কিন্তু নয়। যুদ্ধের বহু প্রকার পদক্ষেপ হয়ে থাকে,
তাই বলে একজন আর একজনের প্রাণ নিয়ে তুষ্ট হওয়া
ভালো কোন পদক্ষেপ নয়, এ-এক যুদ্ধের নামে ধ্বংসের বীজ
রোপণ এবং অশান্তিকে নিমন্ত্রণ মাত্র।


৩/ যুদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত পরিকল্পনা।
শত্রু কতটা শক্তিশালী এবং সামর্থ্যবান তা আগে নির্ণয়
করতে হবে। কেননা সামর্থ্যের নিকট অসমর্থ চিরকাল
পরাজিতই হয়ে থাকে।


৪/ রাষ্ট্র বা যোদ্ধা সকলের এক একটা দুর্বলতা আছে,
দ্বিতীয় পদক্ষেপে তা খুঁজে বেরকরুণ, আর সময় বুঝে
সেখানে আঘাত করুণ। তবে সাবধান শত্রু কে কখনো তুচ্ছ
এবং ক্ষুদ্র ভাবা যাবে না, কেননা সর্পের মরণ কামড়  
অত্যাধিক ভয়ানক হয়ে থাকে।


৫/ সহসা কোন অসমর্থ দেশ বা যোদ্ধা যদি যুদ্ধের বারংবার
আহ্বান করে, তাৎক্ষণিক যুদ্ধে সাড়া না দিয়ে খুঁজে বের করুণ
গোপন রহস্য। যদি পরিবেশ অত্যাধিক কঠিন হয়, তবে ডাণ্ডা
মাথায় প্রত্যুত্তর দিতে হবে, পরিস্থিতি কঠিন হলে পলায়ন বা
শান্ত থাকতে হবে মনে রাখতে হবে আজকের বেঁচে থাকা
কালকের জয়।


৭/ শেষ একটা জিনিস সবসময় মনে রাখা উচিত, একজনকে
হত্যা করলে যদি দশজনকে বাঁচানো যায়, তবে সে ক্ষেত্রে  
যুদ্ধ করা এক বীরের কর্তব্য-ধর্ম এবং কর্ম।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সাল
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।