এসে হে মহাভারতের মহাবীর
✍- উজ্জ্বল সরদার আর্য
এসো হে মহাভারতের-মহাবীর!
ভূধর কাঁপিয়ে, ত্বড়িৎ হয়ে,
অন্তরীক্ষে দূরীভূত করো তিমির।
তোমার বিদ্রোহের বহ্নি শিখায়
বিধ্বংস হবে ওরা
যুদ্ধে নেমেছি আজ আমরা-
‘জাগো হে বীর জাগো’
তমিস্রায়-তন্দ্রিত তোমার স্বদেশে
কবি ঘুরছে পথিকের বেশে
বুকে বিদ্ধ বন্দুকের গুলি তুমি দাও সঙ্গ।
হে-বীর,তুমি তো আজ অচেতন
নেচে উঠেছে কেতন-
এই সাইক্লোনে!
অন্ত সম ঘুমন্ত তুমি অলসে
অরণ্যের অন্তস্তল আবাসে
আমার রক্তে ভেসে যাও জয়ের সন্ধানে।
আজ আমি মায়ের চরণে সঁপেছি প্রাণ
ইতিহাস বলে বলবান
হয়তো তোমার নিকট অতি ক্ষুদ্র,
কিন্তু আমার অদম্য ওই দিনের নির্ভীকতা
আজ সকলকে করবে একতা
করবে যুদ্ধ হয়ে রুদ্র-
করবে ছিন্ন শির!
ন্যায়ের ঈশ্বর তুমি’ তুমি আজ স্থির!
‘এসো হে মহাভারতের মহাবীর’।
জানিনা, আজ কি জেগেছে তোমার ওই প্রাণে
ভয়ে ভিতু হয়ে লুকিয়ে থেকো না এই ক্ষণে
সময় এসেছে নিতে হবে প্রতিশোধ!
দিতে দণ্ড খণ্ড-খণ্ড করো দেহ
ওই দানবদের,
চুষেছে রক্ত করেছে ক্ষতবিক্ষত মায়ের-
মরণের কোলে ঢোলে না ক্রোধ।
তাই হে-বীর, পথে নামো পথের খোঁজে
মেঘলা দিনে গগনে মাদল বাজে
বর্ষা সাজে আঁখির কনে!
কাননে ফোটে ফুল,হাত বাড়ায় শিমুল,
ওই রণক্ষেত্র-রঞ্জিত হক তোমার রক্ত দানে।
ওখানে আজও জীবিত আছে কত যোদ্ধা
যারা দেশকে ভালোবেসে করে শ্রদ্ধা -
করছে নিজেকে বলিদান!
তাদের স্মৃতি সৌধে নত হয় এই কবি
হৃদয়ে এঁকেছি যুদ্ধের না-না ছবি,
তুমিতো মহান -
মানব-ধর্মী কল্প-তরু দাও শান্তির নীর!
নীরক্তের রক্তদানে ফুল ফুটবে বনে
বোমা-বন্দুকে ঝরাও রক্তিম আবির!
‘এসো হে মহা'ভারতের মহাবীর’।
রচনাকাল ১১ফেব্রুয়ারি ২০১৯ খ্রিস্টাব্দ,
বাংলা ২৭ মাঘ ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, সোমবার
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।