মরছি তবু মারতে আজও শিখিনী
       ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


   এই পৃথিবীর অভ্যন্তরে অসমর্থ-অসহায় সকল মানুষেরা
   অন্যায়ের বিরুদ্ধে যতই মিছিল,হরতাল, অবরোধ,
   বিদ্রোহ-সংগ্রাম করুক না কেন,
   দিন শেষে কেবল ব্যর্থতা প্রাপ্তি হয়।
   তবুও আমি থাকিনি থেমে,
   সত্যের সন্ধানে জীবনকে করেছি উৎসর্গ।


   জানি, সত্য বড়ো কঠিন! তাই কঠিন কে ভালোবাসতে
   ভুলে গেছে এই সমাজ।
   লোভ-লালসা হিংস্র অসত্যের রাজ্যে অন্ধকার কারাগারে
   মুখথুবড়ে পড়ে  ক্ষুধার্ত-ক্ষত একাকীত্বের বেদনাবিধুর
   যন্ত্রণা নিয়ে মানবতা।


   এখন নিদারুণ সময়ের স্রোতে ভেসে চলেছে সব,
   চারিদিকে আর্তনাদ-ক্ষুধা-দারিদ্র্যতা শুনি মৃত্যর কলরব।
   করুণা শূন্য অন্তরে কেবল অসত্যের ছবি আঁকে,
   দিনরাত ছুটছে মানুষ কালো টাকা আর সম্পদের লালসায়!
   ভাবনা শুধু একটাই ছলে, বলে, কৌশলে, কি করে অন্যের
   সবকিছু লুট করা যায়।


   তাই চোর, বাটপার,  ঘুষখোর, দালালের রাজ্য হয়েছে
  পৃথিবীর প্রত্যেকটা দেশ,
  প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে নিরীহ জনতা।
  রাজনৈতিক ছদ্মবেশ ধারী নেতা-নেত্রী ভদ্রতার আড়ালেও
  গড়ছে সম্পদের প্রাচুর্য।


  কিন্তু যখনি করতে গিয়েছি প্রতিবাদ, জাগাতে চেয়েছি
  নিদ্রিত জনতাকে, দেখেছি আমার বিরুদ্ধে হচ্ছে যত
  আন্দোলন- দেখায় সামর্থ্যরা ক্ষমতা প্রদর্শন।
  যাদের সাহসিকতায় প্রভাত আলোর স্বপ্ন দেখে সবাই,
  তারাই তখন আমাকে করে নিন্দা,
  ক্ষত বিক্ষত করে বেত্রাঘাতে।


  তবু থাকতে চাই না থেমে, একদিন আসবে সকাল -
  জাগবে সকলে।
  আজ যত অন্যায় দেখি অন্তর আমার ক্ষত হতে থাকে,
  শিরায়-শিরায় বৃদ্ধি হয় রক্তের তীব্রতা,
  মনে হয় পৃথিবী কাঁপানো রুদ্র তাণ্ডব তুলি।
  কিন্তু আমি আজও অসহায়, আজও লজ্জিত, শক্তিহীন
  হয়ে পড়ি ক্ষণেক্ষণে অকাল মানুষের মৃত্যুতে,
  ওরা রক্ত চুষছে, আমরা মরছি
  তবু মারতে আজও শিখিনী।



রচনাকাল, ১৪ মে ২০২১ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা ৩০ বৈশাখ ১৪২৮ বঙ্গাব্দ শুক্রবার,
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।