অন্বেষণ
  ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


হেমন্তের দিনশেষে কুয়াশায় জোড়ানো সূর্য যেন হয়েছে
তোমার ললাটের লোহিত টিপ।
নির্জনে-নিভৃতে পলকহীন চোখে তাকিয়ে থাকি সন্ধ্যা অবধি।
শূন্য অন্তরে কখন যে দেখার ইচ্ছা, ছুঁয়ে দেখার বাসনা
জেগে ওঠে বুঝতেই পারি না।


যে প্রেমের প্রোজ্জ্বল প্রদীপ নিভে গিয়েছে অনন্ত দিন,
তার জন্য এত চঞ্চলতা-ব্যাকুলতা কেন?
কেন আকুল নয়নে চেয়ে থাকি তার ফিরে আশার অপেক্ষায়?


সম্মুখে শান্ত নদীর স্বচ্ছ জলে ভেসে উঠেছে মায়া মিশ্রিত
পরিচিত সেই মুখ,
অতীতের গল্পকথা মৃদু ঢেউ হয়ে বয়ে চলেছে বুকে,
বাতাসে বিরহ বাঁশির সুর দোলা দিয়ে ঝরিয়ে যাচ্ছে
গোধূলির অজস্র ফুলকে।


কিন্তু আর শোনা যায় না রিক্ত পথে তার চরণ ধ্বনি,
নূপুর গুঞ্জনে মাতোয়ারা হয় না মন ---
ক্ষণে-ক্ষণে পিছু ফিরে তাকিয়ে করি,
ওগো তোমায় অন্বেষণ।


মন বলে তুমি আসবে অপেক্ষিত গোধূলির প্রান্ত দেশের ফুল
বিছানো রঙিন পথ ধরে।
কিন্তু সময়ের অন্তিমে আকুল আঁখিতে ধরা দেয় অন্ধকার,
অশ্রুর তীব্র স্রোত পড়ে তোমাকে ঘিরে।


হয়তো একদিন ধূলিকণায় চাপা পড়ে যাবে সমস্ত বাসনা,
থেমে যাবে জীবন--- থেমে গিয়েছি আমি।
দহন দগ্ধ শ্মশানের প্রখর তীব্রতা আজ করি অনুভব,
পোড়া ছাই দিয়ে তোমার কাজল বানাবো।


✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ১৯ নভেম্বর ২০২০ সাল,
বাংলা ৩ অগ্রহায়ণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, বৃহস্পতিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।