মোরা নীল নভোমণ্ডলের উড়ন্ত বিহঙ্গ।
উষার অকূলে আদিত্য ভাসলে আমরা প্রতিদিন চলে আসি তোমাদের মাঝে,
মোদের অমৃত কণ্ঠে গান রচনা করে,
নিদ্রা ভেঙে ডেকে তুলি তোমাদের,
মনে করি তোমরা'ই শ্রেষ্ঠ - মহান এ'যগৎতের।
কিন্তু, আমাদের দেখে তোমাদের হৃদয়ে সর্বদা হিংসার প্রতিছবি আঁকে কেন?
কেন করো আমাদের উপর ভয়ানক নিষ্ঠুর অত্যাচার?


কি চাও মোদের কাছে তোমরা?
সর্বদা খাঁচায় রুদ্ধ করে পড়ন্ত বিকালে দু - চারটে ভাত ছড়িয়ে দেও মোদের সম্মুখে।
বিনিময়ে পূর্ণ সাবন গীত শোনাতে হয় তোমাদের,
না গাইলে ইচ্ছা মতো খোঁচাতে থাকো হর্ষে ডুবে আমাদের।
ভদ্র পোশাক পরে,বাবু সাঁজো সমাজে,
বন্দুক হাতে নিয়ে বাঘের মূর্তি ধরো কেন গহনে?
গলার টুটি কেটে,গরম জল সর্ব অবয়বে ডেলে কেন খাও আমাদের রক্ত - মাংস চুষে?


এমন করে চলবে আর কতকাল?
আর কতকাল আমরা অকালে ডানা ঝাপটাতে -ঝাপটাতে মরবো?
ইচ্ছা মতো ছুটতে পারিনা, গাইতে পারিনা গান,
মোদের নীড় ভেঙে গড়েছো তোমরা শ্মশান।
তাই, আর নয়, থাকবোনা বন্দি হয়ে খাঁচায়,  
ভেঙে ফেলবো এবার খাঁচার খিল,
আমরা এবার ডেকেছিল বিদ্রোহের মিছিল।
যখনি দেখব তোদের ,
তখনি আমাদের দুর্গন্ধ বিষ্ঠা ছুড়ে দেবো তোদের মাঝে, একে দেবো নংরা ছবি।
মোদের নোখ - ঠোঁটের'ও দেখবে এবার ভয়ানক  কার্যকলাপ,
তোদের নেশা ধরানো নয়ন দুটি
উপড়ে ফেলবো,এবং সর্ব অবয়ব চিরে দেবো নখের আঁচরে।
তার পর তোমরা ধুঁকে - ধুঁকে মরবে,
যেমন ভাবে আমরা ফাঁশির দড়ি গোলায় দিয়ে,
নক্ত  মরি।


উজ্জ্বল সরদার