হে  সখী !
যুগ"যুগ " পার হয়ে গেলো
তুমি আমাকে ছেড়ে গেছো চলে,
আমি দুয়ারে দাঁড়িয়ে 'দাঁড়িয়ে
ডাকি তোমায় বাহুতুলে।
কিন্তু, সেদিন তোমার হিয়ার মাঝে কে
লুকিয়ে ছিল?
সমীরে ভেসে অন্তরীক্ষে ছুটেছিলে,
মিছে 'মিছে 'কেন আমায় দেখতে চপলা
জ্বালেছিলে?
তুমি তো ছায়া, বলো কে তোমার আলো?


তবে, কে সে তব সখা?
মম থেকে দিয়েছে কি তোমায় ভালোবাসা?
হরষ প্রাপ্ত করতে, অভ্র সেজে বিলীন হয়েছো
তার মাঝে,
ছুটে চলেছো দূর - দিগন্ত হতে দিগন্তে,
তব হৃদয়ে এতো কেন লোভ - লালসা?
অভাগা সাজিয়ে, রুদ্ধ কুঠারে মোর একা
ফেলে, নিষ্ঠুর হৃদয়ে গেছো সেই কবে চলে,
আমি তোমরা'ই বিহনে তৃষ্ণার কাতরে
মৃত্তিকায় পড়ে আছি,
জীর্ণ সেজেছি, সকলে আজ আমায় বৃদ্ধ বলে।


যৌবনে যখনি ছিলে মোর পাশে,
আমি নব সাজে,  সেজেছিলাম তোমায়
ভালোবেসে।
তুমি মৃত্তিকা চিরে স্রোতস্বতী আমার জন্যে
হলে,
আমি গোধূলি লগনে ভেলা ভাসিয়েছিলাম তোমার বুকে।
বসন্ত বাতাসে দুলে "দুলে, "তোমার হিয়ার
মাঝে ডুবে, তোমাকে নিয়ে করেছি কত প্রেমের
খেলা।
ওগো সখী ! ভুলে গেছো কি  সে কথা ?


তবে, কেন গিয়েছো চলে? যৌবনের অমৃত
শুকিয়ে , নব পাতা ঝরিয়ে,
কেন অসময় আমাকে জীর্ণ বানালে?
তোমার বিহনে কতো অাগে'ই শুকিয়ে গেছে
আমার স্বরিৎ ,
আজ আর কল"কল" সুরে প্রেমের গাইনা গীত,
মম চল - চঞ্চল তরী তটে করেছে স্থগিত।
হে সখী ! আমার তরী তটিনীতে ডুবিয়ে,
ভাসছো তুমি কোন অকূলে ?
মোর নিপাত আঁখির ঝরালে জল, ঊর্মিতে
প্রেমের তটিনী উত্তল,
মোর দ্বারে আসে'না আর উষা অম্বরে অরুণ
জ্বলা সকাল।
///
উজ্জ্বল সরদার