রূপসী বাংলা
      ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


    আত্মতৃপ্ত হেতু উত্তর মেরু থেকে দক্ষিণ,
    মঙ্গল গ্রহ থেকে পৃথিবী,
    এবং দেশে-দেশে খুঁজেছি স্বর্গীয় নিবাস।
    কিন্তু যত দূরেই যাই, স্মৃতিচারণে উঠে
    আসে শুধু তোমার নাম।
    হে জননী-জন্মভূমি!
    তোমার রূপ-লাবণ্য ও স্বর্গীয়-সৌন্দর্যে
    মোহিত হয়ে,মাতৃ ভক্তিতে পাণ্ডু লিপিতে
    লিখি অজস্র কবিতা।
    তাই বুকভরা পিপাসা নিয়ে রংধনু রেখা ধরে
    শ্রাবণের মেঘ হয়ে ফিরে এসেছি
    সজ্জিত কুঞ্জকাননে তোমার অন্তর-
    অন্তস্তল আবাসে।


    আজ আনন্দের অশ্রু বৃষ্টি ধারায় ঝরে যেতে চায়
    ‘‘ভূ’’ বুকে, বাংলার আকাশে-বাতাসে-মিশে
     থাকতে চাই আমি অনন্ত কাল।
     এবং জনমে-জনমে ফিরি আসতে চাই ওগো
     তোমায় ভালোবেসে।
     জীবন আমার ধন্য,আমি গর্বিত,
     তাই পুলকিত প্রাণে তোমার গান গেয়ে যাই
     মুক্ত পথে- পথিকের বেশে।
     কখনো প্রভাতের উদিত রবি সাথে নিয়ে
     হই আলোকিত, কখনো ফুলের বনে সুগন্ধে
     পথ হারিয়ে হই বিচলিত।
     শরদ আসে ছবি আঁকে সুনীল আকাশে,
     দখিনা বাতাসে কাশ বন নেচে যায়!
     ভোরের-ভৈরবী রাগে শিউলি গন্ধ বিলিয়ে
     প্রাণে প্রেম জাগায়।


     কখনো হেমন্তের পাকা ধানে রূপসী বাংলা
     হয়ে ওঠে কবি ও কবিতার বসবাস।
     কখনো নদীর বুকে পাল তুলে নৌকা বেয়ে
     ভেসে চলে মাঝি,
     আর ভাটিয়ালি গান, রাখালের বাঁশির সুর,
     পাখির কলকাকলি ঘুম ভাঙিয়ে জানায়
     প্রভাতের শুভেচ্ছা।
     ইচ্ছা করে লুকোচুরি প্রেমের খেলা করি,
     প্রেমিক-প্রেমিকা হয়ে গোধূলির রং ঝরানো
     ফুল ঝরানো বসন্ত পথে।
     সময়ের পরিবর্তনে দেখি নতুন-নতুন রূপে
     নানান বৈচিত্র্যময় তোমার স্বর্গীয়-সৌন্দর্য।



রচনাকাল, ১৮ জুলাই ২০২০ খ্রিস্টাব্দ
বাংলা- ২ শ্রাবণ ১৪২৭ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
দাকোপ খুলনা, বাংলাদেশ।