ভদ্রা তরঙ্গিণী
  ✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য


হে ভদ্রা, হে আমার সখী , হে চল-চঞ্চল
               অশ্রান্ত তটিনী!
     কলকল-কলতানে ভরিয়ে-ভুবনে,
          জাগ্রত তুমি রোজ-রজনী।
               পূর্ণ-প্রাণ মহান
        করছো সর্বদা প্রেম নিবেদন,
  তাই কাছে আসি তোমাকে ভালোবাসি
              করছি শ্রাবণে-শ্রবণ।


         যৌবনের অমৃত কূলতিক্রান্ত
                  অনন্ত পথচলা,
   আমি তোমারে পেয়েছি হৃদয়ে এঁকেছি
             তুমি ঊর্মিতে উতলা।
       গোধূলিতে দাঁড়িয়ে কূল ছুঁয়ে
           দেখি হে সখী তোমায়,
    নির্মল দৃষ্টিতে তোমাকে দেখতে
         তৃষা-হতাশা সব পালায়।
  তাই ধন্য জীবন তুমি প্রাণের প্রিয়জন
           পেয়েছি জন্ম থেকে,
হয়েছি যত নিরুদ্দেশ ঘুরেছি দেশে-বিদেশ,
      স্বর্গের সুধা শুধু তোমার ডাকে।
   মায়ায় ভরা তোমার অন্তর তুমি অমর
    সুখে-দুঃখে তোমাকে পেয়েছি কাছে,
তুমি দূর করেছো দরিদ্রতা অভাগার বিধাতা
       তোমার করুণায় আছি বেঁচে।
তোমার প্রেম-ভালোবাসা দেখিয়েছে স্বপ্ন-আশা
        করে সকলে তোমার গুণগান,
         সবুজ শ্যামল করছে ঝলমল
                ওগো তুমি মহান।
               দু-ধার বন তোমার
          সৃষ্টি করেছো নিজের ইচ্ছায়,
        এনেছ বীজ রোপণ করেছ নিজ
         শ্রেষ্ঠ সুন্দরে পেয়েছি তোমায়।


হে ভদ্রা, হে আমার সখী, হে করুণাময়-
                  কল্লোলিনী!
    করুণা করেছো আহার দিয়েছো
          তুমি  জেলেদের জননী।
নিয়েছ তাই বুকে তুলে এ-কূলে ও-কূলে
                 ফেলছে জাল,
ডিঙি নৌকায় পাল উঠায় দেখি সকাল বিকাল।
      আকাশের নীল, জোড়া শঙ্খচিল,
                 বাসা বাঁধে বুকে!
        গোধূলি বেলায়-ঝিলিক তোমায়
     রাঙিয়ে যায় ছবি আঁকে শিল্পী সুখে।



✍-উজ্জ্বল সরদার আর্য
রচনাকাল ২ মার্চ ২০১৯ সাল,
বাংলা ১৭ ফাল্গুন ১৪২৫ বঙ্গাব্দ, শনিবার।
দাকোপ খুলনা,বাংলাদেশ।