তুমি আমার জীবনানন্দের বনলতা সেন
মুখশ্রীর কারুকার্য মায়া
নিঝুম নিশী আঁধারে জোনাক রঙে
ঝলমলে আলোক-ছায়া
রূপসী বাংলার বটবৃক্ষের ছায়ায় তুমি
শীতল পাগলা হাওয়া
নির্জনতায় তুমি আমার সেই জয়িতা
দিন-রাত্রীর স্বপ্ন ছোঁয়া।


তুমি আমার নির্মলেন্দুর আসমানী পূর্ণিমা
রয়েছো প্রেমের কাব্য জুড়িয়া
বসন্ত বন্দনায় নিদ্রাহীন বৃক্ষের শুন্য ডালে  
ফুলের আনন্দ জাগানিয়া
ঈশ্বর জানে দূরত্ব হয়নি বাঁধা, আজো
ভালোবাসায় চিত্ত যে বেহায়া
তুমি সেই জয়িতা, যার শূন্যতায় কাঁদে
নিত্য, আমার অশান্ত হিয়া।


তুমি আমার পল্লী কবির সাজুর মায়া
এনেছো কাছে টানিয়া
ঝড়ো-হাওয়ায় প্রেমতরী রাখিব
হৃদয়ের সুতোয় বাঁধিয়া
হাসি-ব্যথার নিঝুম সন্ধ্যায় আঁখিজল
বইছে শক্ত বাঁধন ছাড়িয়া
তুমি সেই জয়িতা, ছোট্ট কিশোরীর মতো
রাখিব জড়ায়ে আপন করিয়া।


তুমি আমার কাজী নজরুলের বিদ্রোহী কবিতা
উঠেছো স্ব-মহিমায় জাগিয়া
তোমার চরণ তলে আপন আলো বিসর্জনে  
দিলাম নিজেরে সপিয়া
ভালোবাসায় আসক্ত নির্লিপ্ত কান্ডারি আমি
রয়েছি তব দুয়ারে দাঁড়িয়া
তুমি হে জয়িতা, পূর্ণ করো আজ মোরে
মোর মনের স্পর্শ লভিয়া।


তুমি আমার রবি ঠাকুরের কৃষ্ণকলি
শ্যামা মেয়ের মায়া
দিগ্বিদিক উন্মত্ত ছুটে ক্লান্ত চিত্ত
হয়নি একটু কাছে পাওয়া
শেষের কবিতা, গীতাঞ্জলির অনন্ত প্রেমে  
তোমায় বেড়াই খুঁজিয়া
তুমি সেই জয়িতা, পাবো বলে পরিপূর্ণতা
রেখেছি আজো হৃদয়ে গাঁথিয়া।