দুরুদুরু শব্দে,বুকের আওয়াজের মতো,
এসে চলে যাও,এসে চলে যাও -বারবার।
প্রতি প্রস্থানের সাথে,ঘন রাতের কোণায়
অবহেলে ভাসমান মৃদু আলোর মতো,
জানি,আগমনী বেশীদূর নয়; ঢাক-কাঁসার আসর
বেজে উঠবে পাতা দিয়ে ঢাকা লাজুক স্বর্গে।
ঘুমপাড়ানি ছন্দ আর এলোমেলো রাত
দিশেহারা হয়ে ঘোলাটে ছায়ায় খোঁজে-
তোমাকে আর তুমিকে।
তুমি নামক ছোটগল্পের পটভূমিকে।
হররোজ ডাক দেয় অনিশ্চিতের প্রস্তাবনা,
তোমার নাম ভুলে গিয়ে,
মেঝেয় রাখা পাখা তুলে উড়ে যেতে।
প্রতিবার পিছে ফিরে দেখি,
আমার বরণ থালা নিয়ে বসে থাকো,
তুমি আর তোমার ডাকনাম।
চলে যেতে বলি মুখে ঠিক,
তোমায় থেকে যাবার অধিকার দেয়,
বুকের দুরুদুরু শব্দের নির্লজ্জতা।
দ্বিধার আঁচড়ে তোমার চোখের কাঁপা বৃষ্টি,
আমার হতে না দেয়া সব অনিশ্চিত মৃত্যু,
প্রতিবার এদের নিয়েই বসাই আসর।
তুমি চেয়ে নেবে সব- এই ভুল ভুলে বসিয়ে রাখি
তোমাকে কাছে এনেও দূরে ঠেলবার দৈব বাসর।
তোমাকে বলিনি আসতে,চাইনি তুমি থাকো,
চাইনি তুমি যাও,তাও
তোমার আমন্ত্রণপত্র,
তোমার ঘৃণার লেখ্য,
তোমার থেকে যাবার অনুরোধ,
তোমার আসা-যাওয়ার চুক্তি-
হয়ে থাকে আমার কাঁপা নিশ্বাস,
বুকে ফুল ফোঁটাবার সলজ্জ বিশ্বাস।
তুমি এসে যাও এভাবে বুকের শব্দে,দুরুদুরু কম্পনে;
কয়েকখানা নির্ঘুম রাত্রিযাপনে,হৃদকম্পের ছন্দপতনে!