বাইরে বইছে ধারা,
হৃদয়ে দিল নাড়া
শৈশবের দিনগুলো পড়ে মনে
জলে ভিজে খেলছি কত বন্ধুজনে
বৃষ্টি এলে স্কুল ছুটি খেলা হত মাঠে
কর্দমাক্ত শরীরে গোসল হত বিলের ঘাটে
জলে ভরপুর স্কুল মাঠে সবাই খালি গায়ে
খেলা চলত বৃষ্টি অবধি ফুটবল নিয়ে পায়ে
কেউবা পেত বল,কেউবা করতো কাড়াকাড়ি
বল পাইলেই আর কথা নাই জোড়েসড়ে মারি।
ছুটোছুটি হত বেশি বল চলতো ধীরলয়ে
পায়ে পায়ে টক্কর হত-কেউ ফিরতো ভয়ে।
গোলের মুখে ছুটছে সবাই জিততে হবে তাই
ঝাপিয়ে পড়ে ধরতো বল গোল রক্ষক ভাই।
মাথার উপড় গুরুম গারুম শব্দ হতো মেঘে
বলের লড়াই করতে গিয়ে কেউ ব্যাথা পেয়েছে লেগে।
উহ আহ করে কাতরাইতো, এক পায়ে লাফালাফি
কেউবা এসে হাত ধরতো জলের শীতে কাপাকাপি।
জলের মাঝে বলে লাথি কতযে সে আনন্দ
জলে ভিজে মাথা ব্যথা লেখাপড়া বন্ধ।
ঘরে ফিরে গরম তেলে মায়ের হাতের ছোয়া
একনিমিষেই পালাতো ব্যথা গরম রসুনের কোয়ায়।
গায়ে মেখে সরিষার তেল পাড়ার ছোকরার দল
খোলা আকাশের নিচে ফাকা মাঠে খেলতো ফুটবল।
লাফালাফি ঝাফাঝাফি, হই হট্টগোল
যত বৃষ্টি তত আনন্দ চল খেলতে চল।


বাদলদিনে স্কুল ফাকি, চেনা কত মুখ
এই সমাজে দেখা যায়না সেদিনের মত সুখ


নদি ভাংগন
ভাংছে নদী ভাংছে ঘর
নদী আমায় করলি পর
ভাংছে জমিন গড়ছে চর
বইছে মনে ভাংগন ঝড়।
ভেংগেছে স্বপ্ন ভেংগেছে মন
নদীরে তুই করলিনা আপন
কেড়ে নিলি বাস্তুভিটা
সব হারিয়ে দিলাম হাটা।
কোথায় গিয়ে গড়বো বাস
চিন্তায় থাকি বারোমাস।
ধনী গরীব নাই ভেদাভেদ
নদীর ভাংগনে হয় শিরচ্ছেদ।
গ্রামের পর গ্রাম বিলীন
মায়ের মুখ হচ্ছে মলিন।
এভাবে আর কতকাল
দেখবো মোদের এই হাল।