মেঘমালায় পুঞ্জিভুত ভরপুর জলীয় পানি
এখনি খসিয়া পড়িবে জীবন্ত প্রানখানি
ফোটায় ফোটায় রাংগিয়ে দিবে স্থলদেহমন
জাগিয়া উঠিবে মৃতপ্রায় তৃনলতা বন।
আশায় জাগিবে বেচে থাকার নেশা
নাচিয়া উঠিবে স্বপ্ন-সবুজে হবে হাসা।
ধন্য হবে প্রকৃতি ধন্য হবে জমিনের মাটি
ভরিয়া উঠিবে ফসলের মাঠ সোনা ফলবে খাটি ।
মেঘে মেঘে ঘর্ষনে কখনও বুকে করে আঘাত
সীমাহীন চিৎকারে আগুনের ফুলকি নামে-ব্জ্রপাত ।
হাহাকার,আর্তনাদ নিয়ে মেঘমালায় জমে যখন জল
ছাইরুপে ঈশানে একত্রিত হয়ে বাড়ায় মনোবল।
সঞ্চারিত করে মেঘে বায়ুর একসাথে পথচলা
প্রবাহিত হয় দুর্বার গতি সৃষ্ট পুঞ্জিত মেঘমালা।
আকাশের বুক ভারী হয়ে নামে বায়ু ঝড়
অচেনা তখন সবের তরে আপন কেউ না পর।
ছিন্ন ভিন্ন কাচা ঘর আর কৃষকের ফসলি জমি
দুচালা ছনের ঘরই ছিল শেষ সম্বল জানে অন্তর্যামী।
আর্তনাদে মেঘ কুঞ্জের গলেনা মনের আশা
লন্ডভন্ড গাছ গাছালি অহংকারে বাধা পাখির বাসা।
মনের খায়েশ মিটিয়ে মেঘ সুখে করে উল্লাস
জনপথ তখন মৃতপ্রায় হয়ে থাকে উপবাস।
মেঘের সাথে আড়ি দিয়ে  মনে জাগায় তবু সুখ
স্বপ্ন কেবল ঘুড়ে দাড়ানোর কাটাতে অতীত দুখ।
মেঘের সাথে এই জগতের অমোঘ নিয়মের খেলা
  সুখবৃষ্টি যেমন আনন্দ দেয়  ঝড়বৃষ্টিকে নয় হেলা।