ধহন হচ্ছে বুকে, ক্রন্দন চোখে মুখে
মরছি ধুকে ধুকে,দুঃখ কেবা দ্যাখে
হিসাব যাবে চুকে,কেবল ধৈর্য্য চেপে রেখে
বুঝবে সেদিন লোকে,বাচতে বাচতে কত শেখে??


ব্যাথার তীব্রতা দেহে সারা
কখন যে যাই মারা
চরম আত্ববিশ্বাস হারা
কেবল বেচে থাকা প্রাণ ছাড়া


দগ্ধ দেহ যেন ধুধু বালুচর
কক্ষপথে আর নেইকোন ডর
যা হবার হবে এই ভবের সংসার
অবসান হউক তবে সকল জল্পনার


পচন ধরেছে সাড়া গায়
কোন পথ্য নেই যে এ ঘা সারায়
দিনে দিনে মনে অবিশ্বাস বাড়ায়
কষ্ট বিনে সুখ নাহি এ ধরায়


নৈতিকতা গেছে মরে
অগ্নিতাপে জ্বলে পুড়ে
নাইকো ঠাই আপন ঘরে
আপনেরাই মরন কামড় মারে


তবুও থাকতে হয় বেচে
দুই প্রাণ*(দুই সন্তান) দুকাধে নাচে
অবুঝ তবু চলে আপন ধাচে
চেষ্টা আপ্রান দুঃখ যেন ঘোচে


বহুদিনের হিসাব আছে খাতায়
লিখেছি বিষাধ সিন্ধু লেখার পাতায়
ছিন্ন করে সব, একবিন্দু সুখের আশায়
পিছন ফিরে দেখা যেন বন্ধী আছি খাচায়


নেই কোন ভুল পিছনের জীবন লয়ে
মনুষ্যত্যের চরম অবহেলা যাচ্ছি সয়ে
হিংসার আগুন বইছে চুয়ে চুয়
অদৃশ্য কক্ষপথে দেহো যাচ্ছে ক্ষয়ে


বিন্ধুমাত্র স্বাধ নেই বেচে থাকার
মৃত্যু না হলেও জ্যান্ত নির্বিকার
এ কষ্ট রংহীণ,ফিরে আসে বারবার
এত সুখ!!!! নিয়ে অধিকার নেই বাঁঁচবার


মৃত্যু হউক একথাটি যতবার
শুনেছি
ততবারই একবার করে মরেছি
আবার মরতে বাচতে ফিরেছি
বেচে আছি বলেই বারবার শুধু হেরেছি৷


সময় অনেক কম
ফুরিয়ে যাবে দম
আসবে মৃত্যুর জম
রব করবেন যখন হুকুম


আসমান কান্দে জমিন কান্দে
কান্দে আমার মন
সব অহংকারের পতন ঘটবে
সংগী হবেনা ধন


একদিন নিশ্বাস হবে বন্ধ
আর সময় নাই বাকী
অত্যাচারীর বিচার হবে
তখন বুঝবে তার ষোল আনাই ফাকি


থেমে যাবে তরী
অহংকার যতই করি
থমকে যাবে দেহ ঘড়ি
তাই আল্লাহর পথ ধরি৷৷৷



কতগুলো বসন্ত এলোগেলো,কেবল তুমি এলেনা মন গহবরে,
তুমি এসেছিলে,ঠিকই ছিল তখন,যখন ভেবেছিলে তুমি আপন এইঘরে৷
এখন এঘর হয়েছে শুন্য আতুরঘর,
পরশ্রীকাতরতায় তোমায় করেছে পর৷
আপনকে করতে পারোনি আপন কোনকালে,
শুলে চড়িয়ে বিচার করো কিঞ্চিৎ ভুলে৷
বড্ডবেশি অশান্ত হই যখন মিথ্যে বুলি ছাড়ো,
তখন আমি অবলাজীব নইকো তব কারো।।
আসলে আমার জীবন গেছে ফেসে,
অদৃশ্য আত্ত্বা করে ভর তোমার পাশে৷
যার কারনে আমাকে এ পৃথিবীতে বানাও চরিত্রহীণ,
নইলে কি আর কাটে তোমার সময় নিদ্রাহীণ।।
জীবনের এখেলায় তুমি চতুর খেলোয়ার,
জিততে গিয়ে করো তুমি মিথ্যের উপসংহার।
এজেতা নয়কো জেতা ভবের এ সংসার,
পরকালে জিতলেই তবে পাবে উপহার৷
বিচার হবে কঠিন ঐ বিচারের মাঠে,
বুঝবে তুমি বুঝবে সেদিন,যখন শুইবে চিতা,খাটে৷
আজকের প্রতাপ তোমার রবেনা সেইকালে,
থাকবেনা পাশে কেউ, পাবেনা জল তোমার হালে৷
মিথ্যেরা সব হবে সরব, বলবে বাচি হাফ ছেড়ে?
তোমার ঠিকানা হবে কোথায়,সবই নিবে কেড়ে৷


প্রার্থনা, আমি যদি হই


হে মাবুদ,
আমি যদি করি অপরাধ,করোনা আমায় ক্ষমা
কেড়ে নাও সব কেড়ে নাও যা আছে মোর জমা৷
আমি যদি হয় চরিত্রহীণ তবে আমায় বানাও ঘুড়ি
ইচ্ছে মত মারো তুমি, মারো হাতে তুড়ি৷
আমি যদি হই অত্যাচারী তবে আমায় বেত্রাঘাত করো
বিচারে তোমার ইচ্ছে যা হয় তাই নাহয় করো৷
আমি যদি হই বিপথগামী তবে আমায় ছুড়ে দিও,
আবর্জনার পোকার কামড়ে মরি যেনো দেখে নিও৷
আমি যদি হই সর্বনাশার এক নিকৃষ্ট কারিগর
রেখো তুমি বিছার সাথে বানিয়ে কোন ঘর৷
আমি যদি হই লক্ষভ্রষ্ট,তবে আমায় রেখোনা ভবে
স্বার্থের বেড়াজাল ছিন্ন করে দাও উচিত শিক্ষা পাবে৷
আমি যদি হই কারো ক্ষতির একচিলতে কারণ
মৃত্যুকে আলিংগন করতে থাকবেনা কভু বারণ৷
আমি যদি হই কারো অশান্তির একমাত্র রুপ
ছুড়ে দাও হে বিধাতা যেথায় আছে গভীর মৃত্যুকুপ৷
আমি যদি হই ভবের পাগল প্রলাপ করি আনমনে
তবে কেড়ে নাও সব যা আছে ধনমনে৷


লেখা চলমান