হৃদয়ের গহীন অরন্যে এক ঝাক বুনো শালিকের সাথে চলি,
ডানা ঝাপটায় উড়তে তবুও পারেনা তারাতো ফুলকলি।
জোড়া ছাড়া একটি নির্বিকার কলি হারিয়ে গেলে,
উর্ধ গগনে ঘুর্ণিঝরের আঘাত-লাগে হাওয়ার পালে।
তবুও ভাংগে না প্রেম অভিমান দুঃখ লেখা ললাটে,
শরৎ কি বসন্তের গান বাজেনা অভিসারে স্মৃতির পটে।
সুবাসিত বেলীগুচ্ছ নির্যাস ছরায় আপন উৎকর্ষতায়,
নির্বাক ধুপছায়ার পথে পদচিনহ একে মন ভোলায়।
নিশ্বব্ধে চরনের আঘাতে অন্তরে বাজে অসীম ঘৃনার গীত,
যেনো অস্থিমজ্জায় গ্রথিত হওয়া রক্তবন্যায় হয় ভীত।  
কান্ড শিরা উপশিরা লতা পাতায় উৎকন্ঠায় মতভেদ,
হলুদ কদম্ভে মনকাড়ে যত ততই তার অনুভবে ভেদাভেদ।
অগ্নিলাল হয়ে পৎপৎ জ্বলা পুর্বাকাশের উদিত সুর্যাবেশ
ওম-শান্তি প্রানে লাগে তীব্র উষ্মা ভাসে মৌনতায় সবিশেষ
নির্লিপ্তত রুক্ষতায় গজে উঠে শান্তির আলো হাসে কুটিকুটি
বাতাসে ভাসে তার ঘ্রান অক্ষিগোলকে দৃশ্যমান ভাংগা ঝুটি।
কায়মনে বিদ্রোহী স্ফুলিংগ সুখাতাপে মৌনত ভাবায় ফিসফিস
কুটিল কর্নে আপন বানে ভাসায় প্রানে যন্ত্রনা হয় অবিশেষ।  
কলংকিনি নির্জ্বলা হৃদপিন্ড নেচে বেড়ায় অহমিকা করে খেলা,
রক্ত বিন্দুতে অম্লশিখা জ্বালিয়ে দিতে নিরবিচ্ছিন্ন চলা।