যে তুমি আছো মনের অতল গহবরে
দাড়িয়ে প্রস্থান দেখো খোলা প্রান্তরে
তোমার চলার শনশন শব্দের খেলায়
নেচে নেচে গাই যে গান যাবার বেলায়
যে তুমি আছো হৃদয়ের গহীন বনে
একান্ত আপন রবো মিলেমিশে দুজনে
যে পথে আছে পৃথিবীর সবচেয়ে দামী সুখ
সে পথেই মেটাবো দুজনার যত আক্ষেপ-দুখ
তাইতো অলস দুপুরে মনদরজার পাশে
খুজো অদেখা স্বপ্ন বাগিচায় অবশেষে
কড়া নাড়ার শব্দে হৃদয়ে তোলে যে ঢেউ
কল্পনার রাজ্যে নয় সে ভিন্ন কেউ
চরা রৌদ্রে ফসলের মাঠ যখন হাহাকার
তখন উনুনে থাকো বসে নির্বিকার
উষ্ণতায় খুজো সুখ ছায়ার পরশ
তখন সুরের মুর্ছনায় কন্ঠে কাপে আরশ
ক্লান্ত বিকেলে পথিক খোজে যখন ছায়া
বাড়ে তখন তোমাতে আমাতে অকুন্ঠ মায়া
হাত বাড়িয়ে জানালার ফাকে বিস্ময় নেত্রে চাও
তখনও ব্যস্ত সবে কোথায় তব আমায় পাও?
সন্ধ্যের ছ'টা আসে বনে মাধবীলতা যায় নুয়ে
ডাকে ঘ্যাংগর ঘ্যাংগর যেনো কুনো ব্যংগের বিয়ে
ব্যস্ত কর্মশেষে পাখিরা যখন ফিরে আসে নীড়ে
পথিক তুমি ছায়া খোজো অপেক্ষার বুক চিড়ে
অস্তবেলায় পশ্চিম গগনে রক্তপ্রতিম আভা
উষ্ণ তৃষনার জলে চুমুকে বাড়ায় মনোশোভা
ক্লান্তি তখন মনপাজরে আছড়ে পরে ভীষন
ইচ্ছে করেই একটুখানি অবসরে বাড়ায় ভুষণ
মনপবনে উষ্ণাবেগ ঝড়ে কথামালায়
ছুটে চলে তীব্র হয়ে অন্ধকার পথচলায়
আলো হয়ে তারার মেলায় ঘুড়ো ডানার ভরে
এগিয়ে চলো দেহপ্ললবে সুখের ঘোড়ায় চড়ে।