শ্রাবনের কোন এক দ্বিপ্রহর বেলায়     ।।
মেতেছিলে  হৃদয় মন্দিরে আবেগের খেলায়
কোন এক খোলা মাঠ প্রান্তরে
দিয়েছিলাম ঠাই না হয় প্রেম এই অন্তরে।
নীলগগন ছিল কালো মেঘের ছড়াছড়ি
কখনও একপশলা বৃষ্টির ছোয়া
কখনও অসহ্য রোদের তীব্রতা
কখনও হালকা হাওয়ার শিতলতা
কখনও দমকা ঝড়ের সৃষ্টি ।
এমন দিনে হাতছানি দিয়ে
ইশারায় ডেকেছো দুচোখের ভ্রু নাচিয়ে
ক্ষন্ডিত হয়েছে  প্রাণ মন
দেহ পিঞ্জিরায় পেয়েছে দোলা
করুনাকুতি ছিল সে ডাকে
ছলনাশূন্য সুখাচ্ছন্ন অনুভুতি ছিল
তবু পথের বাকে অযথা করেছি দেরি
যেনো ফিরে যেতে হয়
হীন ভালবাসা নিয়ে তোমাকে
তবুও রয়েছো ঠাই দাড়িয়ে শতাব্দিময়
এতটুকু বিরহব্যাথার আকুতি নেই
কেবল রিমঝিম শব্দের খেলায়
খেলেছো জলকান্নায়
চোখের দুকোনে জ্বলের আঘাতের চিনহ
স্পষ্ট হয়ে ভেসে উঠেছে  নিঃশব্দের আঘাত
শ্রাবনের বারি ধারার বর্ষনের মত
বুকে ছিল তীব্রজ্বালা অদৃশ্য
তবু এতটুকু তাকাওনি ফিরে পিছনে।
কি আবেগময়  ছিল সেদিনের ভাবনায়
আনমনে দেখেছি সারাবেলা
বুঝিতে করেছি দেরি হয়ে অবোলা  ।