ছোট্ট খোকা বড় হয়েছে,মা ডাকে আজ
এই তো বুঝি সন্ধ্যা হবে,জলদি ঘরে আস।
চাঁদ মামাকে দেখা হয়না,না নেওয়া হয় খোজ
বড় মাছের মুড়ো দিয়ে হয় না এখন ভোজ।
কালো গাভীটা মরেই গেছে,নেই কোনো ডোজ
তাই বলেই তো চাঁদ মামাকে,দুধ দেই না রোজ।
বুড়ো দাদুর গল্প শুনিনা,হয়েছে বছর পার
কবে জানি পটল তুলেন,চলে যান ওপার।
মনে পড়ে....
ছোট বেলায় মাটি দিয়ে পুতুল বানানোর কথা,
মনে পড়ে খালে গিয়ে মাছ ধরার বেলা।
মনে পড়ে ঝড়ের দিনে আম কুড়ানোর কথা,
মনে পড়ে গ্রীষ্মের দিনে মামা বাড়ি যাওয়া,
শীতের দিনে নানান রকম পিঠা-পুলি খাওয়া,
মনে ভাবে আহারে শিশুকাল কতই না মজা!
হামাগুড়ি দিতে হয় না,হাটতে শিখেছি
হাত ধরে আর হাটায় না কেউ,একাই পথ চলি।
বড় বড় দালান হয়েছে,দেখি না কুঁড়েঘর
মানুষগুলো পাল্টে গেছে,হয়ে গেছে বর্বর।
বউ কথা কও পাখিটা কোথায় ডাকে আজ?
রাস্তায় বাজানো হর্ণগুলো তুলে কলকাওয়াজ।
মিনা-রাজু,টিয়ার গল্পতে লুকিয়ে সব রাজ
সিসিমপুরে চলে যাব ভাবছি,ফেলে দিয়ে সব কাজ।
বাজ পাখিরে বলছি এবার,তুলেনে আমাকে
দেখতে চাই তোর সাথে উড়তে কেমন লাগে!
দিন ফেলে সেই রাত্রি আসে প্রকৃতির নিয়মে,
চাইলেও আর পাবো না ফিরে,সেই দিনগুলোকে।
বিনয়ী মনে বলি প্রভুকে,করি হাতজোড়
আবার যাতে জন্মাই এ মাটিতে,বাংলা মায়ের ঘর।


লেখার সালঃ ২০১৮