কখনো কি ভেবে দেখেছো,পুকুরপাড়ের বেঞ্চটির কথা?
ভবানীপুরের রাস্তার দক্ষিণে পড়ে থাকে সে একা।
রোদ-বৃষ্টি ঝড়ে সে নাহি ডরে,
যদি কেউ এসে বসে তার পাশে,
তখনই ক্ষনিক প্রাণটা হাসে।
লোকে প্রয়োজন শেষে বসে নাহি থাকে,
চলে যায় আপন কাজে।
বেঞ্চটা ভাবে-এমনই কী এই মানবজাতি,
সকলে নিজ স্বার্থ সন্ধানে।
নিজের স্বার্থে করে ব্যবহার,তবে দেয় না কানাকড়ি
টাকা-পয়সা চায় না সে,চায় না কোনো মূল্যবান সম্পদ
যা সে চায়,তা দেওয়া নয় কোনো দূর্লভ।
চারদিকে গাছপালা ঘিরে আচ্ছাদন,
পাতাগুলো সব ঘিরে আছে আস্তাকুঁড়ের মতোন।
কষ্টটা কে বা বুঝে,দিন শেষে জমে থাকা ময়লা কেউ না মুছে!
তবে যখন প্রয়োজন পড়ে সবে মিলে ঝাড়ে।
সেদিন এক হবু দম্পতি বসে ছিল 'পরে,
বসে বসে সব আবেগ প্রকাশ,ভালোবাসার টানে
হঠাৎ যেনো সময় ফুরিয়ে,চলে যাচ্ছিল তারা
আমার পাণে তাকিয়ে ভাবছিল,হবে কি আর দেখা!
নিমিষেই আবার মিলিয়ে গেল রাস্তার বাক ধরে,
এমনি ভাবে বহু বছর গেলো,দেখতে পেলাম না তারে।
তবে অন্য লোকেরা আসে-যায়,
কত পোশাকের বাহার।
আমি তো ভাই ইট বালিতে গড়া,
লাগে না কোনো আহার।
আমার মূল্য আমি বলি না,
মাটির মূল্য আর কি?
মাটিতে জন্ম আমার,মাটিতে যাব চলি।


লেখার সালঃ ২০১৯