মা : হ্যালো , কে বউমা ? তোমরা সবাই ভালো আছো তো মা ?
বউমা : দেখুন , ওসব ন্যাকামিপনা ছেড়ে দিয়ে _ ঠিক কি বলতে চান তা একটু খুলে বলুন । এদিকে আবার আমার হাতে কত কাজ পড়ে আছে ।
মা : না মা , তেমন কিছু না । আজ খোকার জন্মদিন কিনা ! আমি তো আর এইখান থেকে তোমাদের কাছে যেতে পারবনা । তাই বলছিলাম কি আমার হয়ে তুমি নাহয় খোকাকে একটু পায়েস রান্না করে দিও , এই যা !  
বউমা : এসব নিয়ে আপনাকে আর ভাবতে হবে না । সে জন্যই আজকের এই এত বিপুল আয়োজন । বাড়িতে অনেক লোকজন এসেছেন , আমিও এখন ভীষণ ব্যস্ত আছি । পরে ফোন করবেন ।
                         (ফোন কেটে দেওয়ার শব্দ)।


মা : হ্যালো , খোকা ? কেমন আছিস বাবা ?
ছেলে : ভালো । নাও কি বলবে তাড়াতাড়ি বল । ওদিকে আবার বাড়িতে সবাই আমার জন্য ওয়েট্‌ করছে । আজ আমাকে একটু তাড়াতাড়ি করে বাড়ি ফিরতে হবে কিনা ।  
মা : না তেমন কিছু না ! আজ তোর জন্মদিন কিনা !
ছেলে : মা তুমিও না ! এই জন্য আবার ফোন করতে হবে ? আমি এখন খুব ব্যস্ত আছি । পরে ফোন করব ।
                         (ফোন কেটে দেওয়ার শব্দ)।
ফোনটা হাতে নিয়ে বৃদ্ধাশ্রমে বসে বসে মা ফিরে যাচ্ছেন ; কুড়ি বছর আগে , ত্রিশ বছর আগে , পঁয়ত্রিশ বছর আগে ... খোকার এক্কেবারে ছেলেবেলাতে । তারপর মনে মনে বলছেন ‘খোকা , আমি শুধুমাত্র তোর জন্য আমার সমস্ত দরকারি কাজকে ফেলে রাখতাম । আর আজ সেই তুই কিনা তোর সামান্য একটা কাজের জন্য আমাকে ফেলে দিচ্ছিস্‌ ! খোকা তোরা এতখানি উন্নত না হলে পৃথিবী কি আর চলছিল না ? তোরা মায়ের কোল খালি করে পৃথিবীর বুক কি করে ভরিয়ে তুলবি ? তোদের এতসব ধর্মে সইবে তো ?