আমাকে আমার তিক্ত স্মৃতিতে ডোবাও,
নীল-সবুজে আচ্ছাদিত এই পৃথিবীর
কঠিন থেকে কঠিনতর অবমাননা
আমি নারী হয়ে পেয়েছি।


প্রতিনিয়ত আসন্ন আগামীতে, আমাকে পুড়তে হবে শতগুনে।
যে পথে আলোর দেখা নেই, সামনে কেবল গভীরতর অন্ধকার,
সে পথে আমি থেমে যেতে চাই, ফিরতে চাই অতীতের
ক্লান্ত বিষণ্ণ আধারের কোলে।


জানি তোমাদের চোখ নেই, তবুও বলছি, এই দ্যাখো,
চর্মে-চর্মে, মরমে-মরমে কি ভয়ানক ক্ষত!
তোমরা আমাকে এক জীবন দিয়েছ যেখানে,
তোমাদের ফুল দিয়ে আমি কাঁটা নিয়ে বাঁচি।
তোমাদের মস্তিষ্কের বিবেচনার উর্ধ্বে সে ক্ষত,
যার যন্ত্রনার কাছে তোমরা নবাগত নির্বোধ।


এই সমাজের প্রতিটি নারীর মননের চিলেকোঠায়
একটা তালামারা বদ্ধ ঘর আছে;
যেখানে হুমড়ি খেয়ে পরে থাকে নিহত স্বপ্নরা!
তবুও সময়কে সাক্ষী রেখে তোমরা জেনো,
কোনো নারী অসহায় নয়।


ঈশ্বর তোমাদের বলুক যে,
প্রতিটি নারী ঈশ্বরের আবদ্ধ পাঁজরে সুরক্ষিত;
যেমন বুকের অস্থি-তলে সুরক্ষিত তোমাদের কম্পমান হৃদয়।


সমবেদনার ঢেউ তুলে তোমাদের দয়া দেখানো
কবিতা লেখার দিন শেষ,
নির্মল মুক্ত মেঘের শপথ নিয়ে বলছি,
একদিন নারীরা চোখের কাজল অশ্রুতে ধুয়ে আর বলবে না-
"ইশ্‌শ! এই পৃথিবীতে না জন্মে যদি, কবিতায় জন্মাতাম।"