আজও প্রতিটা রাত ঘিরে ধরে উষ্ণতায়
শরীর বােঝে না মনের কথা, মেতে ওঠে ব্যস্ততায়।


আজও প্রতিটা রাত আমার শহর জ্বলে যায়
আর ধুলাে মাখা ছাইটুকু ফিরে আসে কবিতায়।
শরীরটাও শুষ্ক হয়ে যায়, প্রকৃতির উষ্ণ হাওয়ায়, 
মনের কোণে কেমন যেন একটা চাওয়া..
আজ বারবার ঘিরে ধরে আমায়, 
তখন ভবিষ্যত পিষে দেয় যৌবনের শক্ত চাকায়।
আমি যেন আলােকিত ঘর ছেড়ে
তখন অন্ধকারের খুঁটি ধরে বসে থাকি।
আর আমার ক্ষুধিত হৃদয় ফুটন্ত জলবিন্দুর মতই
বেজে ওঠে চঞ্চলতায়।
চাহিদা যেন প্রকাশিত হয় অশ্লীল কবিতায়।
নির্জন ঘরে আমার কোমল ওষ্ঠ কামড়ে
ক্ষত বিক্ষত করে দেয় প্রেম।
কেন আজও প্রতিটা রাত ঘিরে ধরে উষ্ণতায়
শরীর বােঝে না মনের কথা, মেতে ওঠে ব্যস্ততায়।।


আজও প্রতিটা রাতে যেন শুনতে হয়– 
নিদ্রা হীন শরীরের শত আর্তনাদ।
তখন জাতি ধর্ম, অর্থ নির্বিশেষে শরীর ছুটে যায়, 
কেবল শরীরি নেশায়,
তবু রাতের রজনীগন্ধা পড়ে থাকে নিস্তব্ধতায়।
ভদ্র সমাজে আমার কিছু কবিতারা ঠাই পায় লাঞ্ছনায়, ব্যঞ্জনায়, কটুবাক্যের অশ্লীলতায়।
তবুশরীর ছােটে শরীরি নেশায়,
যেন আজও জ্বলে যায় শরীরের রক্ত মাংস
তবু শুকোয়না শরীরের ঘাম, প্রবল উষ্ণতায়।
যেন দূর হতে ভেসে আসে ভণ্ড কবির কলতান
ভদ্র পােশাকের সমাজ, করে দেয় ধূলিসাৎ।
যেন পিষে যায় কবি চরম অবহেলায়,
কেন আজও প্রতিটা রাত ঘিরে ধরে উষ্ণতায়
শরীর বােঝে না মনের কথা,মেতে ওঠে ব্যস্ততায়।