আমি দেখেছি একটা নদীর মতো শরীর শুধু বয়ে যেতে
দুটো নৌকার মত পাশাপাশি দুটি চোখ
অনুভূতির শক্ত রশিতে বাধা মস্তিষ্কের কিনারে।
আমি দেখেছি সেই কুহক চোখের পাতায়-
শিশিরের মতো জমে থাকা স্বপ্ন,
যে স্বপ্ন আমাকেও অনুভূতি শিখিয়েছে।
আমি দেখেছি ঝর্ণার মত ঝরে পড়া ভেজা কেশ
ক্লান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে পড়েছে তার উরু পথে।
তাকে চিনেছি তাকে জেনেছি,
মিশেছি অবাধ সঞ্চারী হওয়ার মতো।
সে আমার বুকটাকে আকাশ বানিয়ে সূর্য উঠিয়েছে বহুবার
আর অন্ধকারে নিজেকে করেছে নক্ষত্র।


আজও রাত্রি দিবস সেই তুমি এসে
আমার অনুভূতির পাশে বসে,
আমি সরে যেতে চাই, সে আরও কাছে এসে বসে।
তারপর হঠাৎ পুরুষের চোখে পড়ে নারীর চোখ,
তখন সে আমাকে বলে-
তুমি এতটা কাছে এসে মিশে যাও।
যেন বাইরে থেকে দুটো নয় কেবল একটা শরীরে দেখা যায়।
সে কাছে এসে শুধু আমার চোখ টাকে লাল করে,
তখন আমার লাল চোখ থেকে বেরিয়ে আসে আগ্নেগিরির উষ্ণতা
যা স্ফুটিত করে হৃদপিন্ডের ভেতর রক্ত কণিকাগুলো।


আজ রাত্রি শেষে হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেলে
আমার শরীরে অবশিষ্ট ভাবে পড়ে থাকে ক্লান্ত ঘাম
আমি স্বপ্ন থেকে বাস্তবে আসি।
সেখানেও দেখি একটা তুমি এসে আমার হৃদপিণ্ডে প্রবেশ করে
তবুও সেই তুমি বাস্তবেও ভীষণ অচেনা।