ছেলেটির মাধ্যমিকে ভালাে ফল  
মাধ্যমিকের পরে সে স্বপ্ন দেখেছিল কোনাে একদিন 
তার গলায় টাইয়ের মতাে ঝুলবে স্টেথােস্কোপ 
চোখে থাকবে একটা সাদা প্রেমের চশমা।তার বাবার মতাে হাতুড়ে ডাক্তার নয়
মেডিক্যাল শিক্ষা সমাপ্ত করে হবে বড়াে ডাক্তার।
তাই ছােট বেলা থেকেই কাটা ঘায়ের সার্জরি করতাে সে 
তখন তাকে ছােট ডাক্তার বলেই ডাকতাে।


ছেলেটির উচ্চ মাধ্যমিকেও ভালাে ফল 
কলেজের অ্যাডমিশনে ভূগােল পেল, 
তবে জানি না সে বাংলা নিল।
প্রথম বর্ষ ভালাে ফল, দ্বিতীয় বর্ষে অসুখ, 
তবু পরাজয় তাকে বিনষ্ট করতে পারেনি।দ্বিতীয় বর্ষ, তৃতীয় বর্ষ সমাপ্ত হলে
সে স্বপ্ন দেখলাে কোনাে একদিন অধ্যাপক হবে।তাই মাস্টারডিগ্রিতে অ্যাডমিশন হলাে।


এখন দু চার খানা কবিতা লিখে 
সে নিজেকে প্রকাশ করে 
কেউ বলে ভালাে, আবার কেউ এড়িয়ে যায়।
কেউ বা বলে কবিতা লিখে কত রােজগার হয় 
কেউ আবার দূর থেকে বলে ভণ্ডামি।ভালােবাসা তারা হয়তাে কোনােদিন বােঝেনি।
কেউ ব্যস্ত জীবনকে বেছে নিয়ে বলে সবই অপ্রাসঙ্গিক 
এখান থেকে বেরিয়ে বাইরের জগতটা দেখাে 
অথচ বাইরের জগৎ নিয়েই তার কবিতার চাষবাস 
তবু সে কোনােদিন ধরা দেয়নি 
পূর্বের শত জটিল সম্পর্কের অভিজ্ঞতাকে ঘিরেই
ভালােবাসাই ছিল তার অ্যাম্বিশান।