গতকাল রাতে ঘুমাতে পারিনি।
সকাল থেকে এখোনো খাবার জোটেনি।
জোটবে কি ভাবে?টাকাই আসেনি হাতে।
ভোর থেকে বসে আছি রেল ষ্টেশানেতে।


ময়লা দাঁতে হলুদের রেখা ছোপ-ছোপে,
ঠোট দুটি ফেটে গেছে শীতের প্রকোপে।
নোংরা চুলে জট,আলু-থালু মাথা,
শরীরে জড়ানো ছেড়া-ফেড়া কাঁথা,
কাঁথার ফাঁকে উঁকি দেয় যৌবন রেখা।
কোন খাবারের আজ মেলেনিতো দেখা।


দুপুর হলো,ভীষণ ক্ষুধা লেগে গেছে।
পাঁচটি টাকাও নেই আমার কাছে।
আজকে শীতের জোড় ভীষণ রকম,
তাই বুঝি ষ্টেশানে লোক জন কম।
এভাবেই যদি,দিন যায় কেটে।
পানি ছাড়া কিছু পড়বেনা পেটে।


পানি ছাড়া কিছুই হলো না খাওয়া।
বেঞ্চিতে শুয়ে,বইছে শীতের হাওয়া।
এমন সময় দেখি পায়ের কাছে,
কোথা থেকে এসে এক লোক দাড়িয়েছে।
কাঁথার ছেড়ায় দেখা যায় আমার এক স্তন,
দাড়িয়ে সে দেখে আমার উম্মুক্ত যৌবণ।
সামনে এসে বলে"অই কিছু খাবি?"
ক্ষুধার পেট আমার,খাবো আমি সবই।


হেটে হেটে চলি আমি তার পাছে,
সে হঠাৎ দাড়ালো এক গেটের কাছে।
তালা খুলে দিলে আমি ঢুকে গেছি ঘরে,
ভাত হাতে সে এলো একটু পরে।


উঠে গেছি তখন খাওয়া শেষ করে,
হটাৎ পড়লো হাত যৌবন ঘরে।
ঠোট নিয়ে শুরু হলো ভীষণ পাগলামী,
ভূলে গেছে বুঝি,পাগলী যে আমি!
হাতের দাপট চলে নগ্ন বুকে,
আমায় খুড়ছে সে যৌন সুখে।


ভালোই হলো,হয়ে গেছে সব শোধ-বুদ,
দেহের দামে ভাতের মূল্য পরিশোধ।
আমার কেটেছে দিন খাবারের লোভে,
তারও বুঝি দিন কাটে দেহের অভাবে।