ধরণীতে এল জৈষ্ঠ্য, তপ্ত কিরণ গায়ে,
তাপদাহে জ্বলে ওঠে পল্লি বনছায়ে।
পুড়ে যাচ্ছে মাঠ ও ঘাট, কাদাভরা গ্রাম,
তবুও তার বুকে ঝরে সোনার স্বপ্ন-ধাম।
বটের ছায়া জুড়ায় প্রাণ, মেঘমালার হাত,
পাকা আমে গন্ধ মেশে, কাঁঠালে তার সাথ।
লিচুর বাগে শিশুরা চায় সুমিষ্ট এক কাম,
রসের টানে হুলুস্থুলে বাজে গ্রীষ্ম-গান।
আকাশ-জুড়ে মেঘের মেলা, কালবৈশাখী নৃত্য,
বজ্রে বাজে ঘন ঘন, বৃষ্টিস্নাত চিত্ত।
কৃষকের ঐ তৃপ্ত হাসি, ভিজে নতুন বীজ,
জৈষ্ঠ্য যেন কর্মমুখর প্রকৃতির এক সীজ।
তাপ ও তৃপ্তির যুগলপথে শেখায় যেন ঋতু-
ধৈর্যে গড়া প্রতিটি দিন, জীবন নয়তো ভীতু।
জীবন-নামে এ পথচলায়, থাকুক যে তার শিক্ষা,
দুঃখের মাঝে গাঁথা থাকে আনন্দেরই দীক্ষা।