মানুষের জন্য, মানুষের দ্বারা, জনগনের যাহা, তাহা গনতন্ত্র,
কোন কবি বলেনি, গনতন্ত্রের প্রবক্তা বলে ছিল ।  
উনবিংশ শতাব্দীর সংজ্ঞা, আজ  খুঁজে ফিরি
কখনো আমেরিকায়,কখনো আফ্রিকায়
অস্ট্রেলিয়া, ইয়োরোপ কিংবা এশিয়া তে
কোথাও খুঁজে পাই না তোমায়
শেষমেশ খুঁজে পাই গোরস্তান এ।


বিশ্বায়ন নামের নক্ষত্র আজ,
উল্কা পিণ্ড হয়ে,
ছিটকে পড়েছে অনাথ বসুন্ধারায়।
বিশ্বায়ন সাতার কাটে, গনতন্ত্রের গতিধারায়,
এই গনতন্ত্র কে বাচাতে হবে।।


পুরনো উপনিবেশবাদ আজ সাম্রাজ্যবাদের নতুন মোড়কে,
এখন আর দেশ দখল হয় না,
দখল হয়ে যায় অর্থনীতি।
ক্রস বর্ডার প্রাকটিস নামক যুদ্ধের সৈনিক  গড়ে তোলে,
মুক্ত বাজার অর্থনীতির, ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি।
সাম্রাজ্যবাদের পাশা খেলায়,
জাতিসংঘ টেলিভিশন এর সামনে বসে থাকা খেলার বিচারক।
মূর্খ গনতন্ত্র তখন পলাশীর মীরজাফর এর ভুমিকায়।
গনতন্ত্র কে বাচাতে হবে।।


গনতন্ত্র বসন্ত ! আম জনতা নাম শুনে খুশী ।
ফুলেল বোমা গুলি যখন আকাশ থেকে ঝরে পরে,
বসন্তের ছোঁয়ায় নগর হয়ে উঠে মৃত্যুপুরী ।
উদবাস্ত শিবির এর নাম ফলক হয় “বসন্ত নিবাস”।
উদবাস্ত শিবিরে বসবাস না হয় একটু কষ্টদায়ক,তো কি হয়েছে ?
গনতন্ত্র কে বাচাতে হবে।।


ভোটের অধিকার এ বুদ হয়ে থাকি,  
ভুলে যাই ভাতের অভাবের কথা,
গনতন্ত্র কে বাচাতে হবে,বাচাতে হবে ভোটের অধিকার
অধিকার  বাচাতে যদি,  
না খেয়ে থাকতে হয়, থাকতে হবে অভুক্ত,
না পরে থাকতে হয়, থাকতে হবে উলঙ্গ,
বসত যদি হয় খোলা আকশের নিচে, থাকতে হবে বসতবিহিন,
মহামারী যদি আসে, সমস্যা নাই, মহামারী চলে যাবে,
তবু ও গনতন্ত্র কে বাচাতে হবে,
সকল কিছু ত্যাগ করে, গনতন্ত্র কে বাচাতে হবে,
আম জনতা তুমি বেঁচে কি করবে ? তবে, গনতন্ত্র কে যে বাচাতে ই হবে ।।