ভীষণ আকাশে মেঘ জমেছে ঘন-কালো
নিরালা প্রান্তরে দাড়িয়ে তাকিয়ে আছি মুখ তুলে আকাশ পানে,
বৃষ্টির দু-এক ফোটা পড়ছে আমার চোখে মুখে
কি তৃপ্তিময়  এই বৃষ্টির ছোঁয়া!
ভুবন কাঁপিয়ে এখনই নামবে শ্রাবণের অঝর বর্ষা
ঠাই দাড়িয়ে রব আমি প্লাবিত নিরালা প্রান্তরে
"সোনার বাংলার" বিদীর্ণ-বিক্ষত প্রাণের ক্ষতে
একা জীর্ণ-ব্যাথিত হৃদয় নিয়ে,
হে বৃষ্টি, তুমি ধুয়ে দিও আমার য্ত ব্যাথা
এবং "সোনার বাংলার" বিক্ষত প্রাণ- তোমার পবিত্র ছোঁয়ায়
সকল কলঙখ যা অত্যচারী রাজার নিষ্টুর
রাজ-প্রাসাধের মত জমা আছে এই মাটির প্রতিটি কণায় কণায়।


আর ধুয়ে দিও মিষ্ট-ভাষী নেতাদের চোখ মুখ প্রাণ
এবং  প্রলোভন ও অসীম চাহিদার বেগ,
তুমি ধুয়ে দিও তাদের "দেশ প্রেমি" নামের কঠিণ আভরণটি
একবার  শুধু মাত্র একটি বার দেখাতে চাই
যে রূপ আমি দেখেছি তাদের, সাধারণ মানুষ দেখুক একবার তা।
তারা দেখুক একবার কি লোকানো থাকে মিষ্টি হাসির আড়ালে
দোয়ারে দোয়ারে যখন ভোট মাগে,


হে শ্রাবণের আঝর ধারা
তুমি ধুয়ে দাও আমাদের জীর্ণ প্রাণ এবং সকল ভয়
আর দিও বজ্রের একটু ছোঁয়া, যেন কেটে যায় যুগ যুগ ধরে জড়ো হওয়া জড়তা
আরেকবার হিন্দু-মুসলিম আমরা হাতে হাত ধরে
কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে জেগে উঠি এক সাথে।
রক্তাক্ত সময় আজ আমাদের হাতে
আমাদেরই মাতৃভূমির রক্তে যা রঞ্জিত; টকটকে লাল।


হে বৃষ্টি তুমি ধুয়ে দিও স্বদেশের মলিনতা গুলো
আর ধুয়ে দিও নিষ্টুর অত্যচারের রক্তাক্ত দাগ
আর ভালবাসার পরশ দিও সকল দুঃখী মায়ের প্রাণে
সন্তাণ শোকে যে প্রায় অর্ধমৃত।