কোমল রৌদ্রের উপহার মসৃণ সকাল
সবুজ ঘাসের প্রান্তে গত রাতে ঝরা জলকণা জেগে আছে এখনো
মায়ের পায়ে পায়ে  সদ্য জীবনে আসা মুরগির ছানা
উঠোনের কোণে কেমন বিস্ময়ে দেখছে চারিপাশ!
আর লোভী চক্ষু মেলে গাছে গাছে ঘুরছে কাক
সুযোগ বুঝে শুধুই ছোঁ মারার প্রবনতা আর কর্কশ শব্দে পরিবেশ দূষণ।
মোস্তাপাদের গোয়াল থেকে ভেসে আসছে গরুর হাম্বা ডাক
এক ঝাঁক চড়ুই বড় অস্থির পাশের বাড়ীর সিম ঝাড়ে
কিচির-মিচির শব্দে ব্যস্ত সারাক্ষণ।


জনসংখ্যা বৃদ্ধির ছাপ এড়িয়ে এখনো বেঁচে থাকা
দু-খন্ড জমিতে চাষ দিচ্ছে আলিবাবা
কৃশ হাড় গঁজানো দুই বলদ তার, চলতে কষ্ট হয়;
চামড়ার উপর মোটা মোটা হয়ে ফুলছে আলির প্রহার
আর বাতাসে ভাসছে জোরালো গলার কঠিন হুকুম
হর-র-র-র,  ডা-লে, বাঁ-লে, আর বেশি নয় এই একটু চল-চল


এক বদনা পানি হাতে রাস্তার ধারে বসে কয়লায় দাঁত মাঝছে শুক্কুর মাঝি
পানের ছোপ পড়া কালছে ময়লা দাঁত তার
কালো কয়লায় সাদা করার কঠিন প্রচেষ্টা,


য্ৎসামান্য কাপড় গায়ে গরু নিয়ে যাচ্ছে রাখাল ছেলেরা
মাঠে ছেড়ে দিয়ে চলে আসবে, সন্ধ্যায় যাবে আবার আনতে।


কিতাব হাতে মক্তবে যাচ্ছে বাচ্চাদের দল
প্রতি পদক্ষেপে ঝরছে তাদের স্বপ্না-নন্দের দ্যোতি।


আমাদের ছোট্ট গ্রাম, দ্বীপপাড়া যার নাম
ভয়ানক লম্বা হয় শীতের রাত্রি গুলো অধিকাংশ ঘরে,
এখানে ফরিদ আলেয়াকে বেদম প্রহার করে
সুখের দিনে হাসে তারা আবার এক সাথে
বাচ্চা আসে এক দুই পাঁচ সাত।
এখানে জীবন হাসে-কাঁদে
অভাব হানা দেয় ভীষণ জীবন
উৎসবে হাসে আবার প্রাণখোলা আনন্দের নির্মল সুখে।