হিমেল কবিতা ভালবাসে, কবি হবে সে স্বপ্ন দেখে
বাবা মা বলে "বড় হ বাবা, তুই হবি মস্ত ডাক্তার আমাদের বুক ফোলানো গর্ব"
দিনে দিনে বেড়ে উঠে হিমেল আর বাড়তে থাকে চাপানো স্বপ্নের চাপ।
ও খোঁজে বেড়ায় কবিতার অনাস্বাদিত স্বাধ
স্যার দেখায় তারে ক্যালকুলাস, ম্যাট্রিক্সের কঠিন সমস্যার ফাঁক,


হিমেল গেঁথে শব্দের মালা সযত্নে পরিয়ে দেয় শুভ্র কাগজের গলে
বন্ধুরা ঠাট্টা করে বাবা মা দেয় ধমকি
ব্যথাতুর হৃদয়ে হিমেল আশ্রয় নেয় জোছনার প্রাঙ্গণে
আঙুল বোলায় আপন সৃষ্টির বুকে,
আর বৃদ্ধের শেষ বয়সের সন্তানের  মত চেপে ধরে বুকে সযত্নে
চাপা অভিমানের তাপে গলে গড়িয়ে পড়ে লোনা জল দু-গাল বেয়ে।


চারদিকে ব্যস্ততা ও বাস্তবতার নির্মম কুঠার-'ঘাত
হিমেলের ঘাড়ে ক্রমে বাড়ে চাপানো স্বপ্নের চাপ
আর দিনে দিনে মরে মুক্ত হৃদয়ের উন্মুক্ত চকোরী
তাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে সবাই তার স্বপ্ন আর দেখতে চাইনা কেউই,
হেমন্ত যায় আসে আবার কুয়াশার পাতলা চাদর গায়ে
হিমেল পেকে উঠে শবচ্ছেদ-কঙ্কাল পাঠে
স্বপ্নেরা জীর্ণ হতে থাকে ঘুমিয়ে পড়া হৃদয়ের অমানিশায়।


হিমেল অনেক বড় হয় প্রাণ দেয় বাবা মার স্বপ্নে-
শুধু হারিয়ে যায় একান্ত আপন স্বপ্নিল জোছনা রাত্রি গুলো।