দারিদ্রের তপ্ত তাপ দহন করছে প্রতিনিয়ত সময়-জীবন-দেশ,
স্বপ্নের কারখানায় জমে উঠা বজ্র কঠিন কষ্ট গুলো
এক অতুল আবেগে ছিন্ন ভিন্ন করে ছেঁড়ে
ভালবাসা-মনুষ্যত্বের শিরা উপশিরা নিউরন চরম হিংস্রতায়!
ওরা তবু নির্বাক, ব্যাধি গ্রস্ত অন্ধ-বধির যেন......


হে দারিদ্র
মুক্তি দাও এবার এই খুশির দিনে,
দেখ পূতিগন্ধময় আবর্জনার বুক চিরে-নিংড়ে
ক্ষুধার সান্ত্বনা খুঁজছে নিষ্পাপ অসহায় শিশু
দেখ একবার খুধার তপ্ত দুপোর তৃষ্ণার জলে মিটিয়ে
কেমন নিষ্ঠুর হাসি ফুটেছে তাদের মুখে!
দেখ জন্ম জন্মান্তর থেকে কষ্টের যন্ত্রণা বুকে ধরে
ঐ বস্তিগুলো নিদারুণ কোন কষ্ট কারাগার লুঠে
সুখের খরায় অভাবের দান বিলচ্ছে প্রতিদিন!
ঢুকরে কেঁদে বলে উঠে দারিদ্র "হায় আমি যে ঐ শাসক গোষ্ঠীরই সৃষ্ট গোলাম"।  


বিনম্র শ্রদ্ধায় নতজানু হয়ে এ মন জিঙ্গাসে তোমায়
আজকের জননেতা সেদিনের হে মহান মুক্তিযোদ্ধা
কেন তোমার মহান হৃদয়-রক্ত আজ অর্থের মলিনতায় মলিন?
আর কত গড়বে সম্পদের পাহাড় কোথায় তোমার তৃপ্তি?
কেন তোমাদের পায়ে পরে কাঁদছে আজ আমার প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি?


নতজানু আমি হয়ে ছিলাম আছি এখনো  
এ আমার ভয় নয় শুধুই বিনম্র শ্রদ্ধা।


যদি জেগে উঠি বইবে আবার রক্ত গঙ্গা!