মানুষের মুখোশে ওরা আজো হাঁটে পৃথিবীর পথে পথে অবাধে
স্থির শকুনির মত লোভাতুর দৃষ্টি মেলে,
নির্লজ্জ পদচারণার নির্মম নগ্ন দাপাদাপিতে  
জমে উঠা দীর্ঘশ্বাসে ভারাক্রান্ত ইতিহাসের পাতা-মানবতার জীবন।


পৃথিবীর বুকে জমা কঙ্কালের ভিড়ে হারিয়ে গেছে
স্মীলোডন ডীও-ডনের ভয়াবহতা, ওরা তবু
আদিকাল হতে হিংস্র স্বার্থপরতার উলঙ্গ থাবা মেলে
মানুষ রূপে মানুষের সমাজে বেঁচে যায় বার বার
অমানুষিক হিংস্রতায় মনুষ্যত্বকে চোখ রাঙিয়ে!
মানুষের রক্তে অত্যাচারের লাঙল চালিয়ে
হায় তাজ্জব, তারাই হয়ে উঠে সমাজের অধিপতি!


যুগে যুগে কত রেনেসাঁ
কত রক্তাক্ত লাশের পাহাড় ডিঙিয়ে
দাঁড়িয়েছে পৃথিবী সভ্যতার সীমান্তরেখায় এসে,
ওরা তবু রোচে যায় অসভ্যতার সৌষ্ঠবহীন ভবিষ্যৎ!
এ এক আশ্চর্য বিস্ময়!


আরও কত রক্ত চাই?
কত সুনীল-শুভ্র স্বপ্নের আত্মাহুতি?
আরও কত মানুষের বলিদান?
লজ্জা-গ্লানির ইতিহাসের পাহাড় আর কত বেড়ে উঠবে মানুষের হাতে?
এই বিশ্বভ্রাহ্মাণ্ডে এক নির্মল সুন্দর প্রাণবন্ত বাসভূমি আরও কত দূর?