প্রেম পিপাসায় তৃষিত হৃদয়ের তপ্ত কাঙাল স্বপ্ন
অস্থির অভিমানে এক গাঢ় নীল রঙের মোড়কে মোড়ে নিজেকে
চন্দনকাঠের গন্ধে মাতাল আঁধারে বলেছিল
                                      "এই নীরব শূন্য প্রান্তরে
                                        নতুন এক নীল জোছনা ফুটিয়ে তুলব
                                        হে নারী যদি ভালবাসার উষ্ণ সৌরভে ছুঁয়ে দাও"


চেতনায় ভালবাসার স্বাদ পেয়েছিল নিশির আঁধার
আর অভিভূত প্রাণের প্রতিটি কণা- তারপর
অবসর অনেক চলে গেছে
                             বর্ষার পর শরত হেমন্ত একে একে,
তবু সরল এক অতি সাধারণ সত্যি কথা
অন্তরের গভীর কোথাও সূর্যের মত কিরণ ছড়ায়
  কোন এক শূন্য নিরালা প্রান্তরে-হৃদয়ে
  নীল জোছনা জেগেছিল একদিন
  নারী হয়ে উঠা এক কিশোরীর  নীল ভালবাসার ছোঁয়ায়।



যৌবতী নদীর স্রোতের মত সময় গিয়েছে চলে
তমিস্রার ক্ষমাহীন দুস্তর স্মৃতির পলি বিছিয়ে
আমায় দিয়ে গেছে নীল নীল ভালবাসার বেদনা
বেদনা-বৃত হৃদয় নিয়ে তাই বর্ষা সন্ধ্যার গোধূলি লগ্নে
অনেক দিন পরে দাঁড়ায় এসে প্রিয় বাঁকখালীর তীরে


আমি আবার হাসতে চাই
                          নিষ্কলঙ্ক প্রাণের আনন্দে
                          যেমন হেসে ছিলাম অনেক বছর আগে,


কেউকি আসছে আমার হাত ধরতে?
হে নদী ওকে বলে দাও      
                        আমার কাউকে চাই না
                        না কাউকেই না,
                        আমি একা বসি তোমার কূলে
                        তুমি শোন আমার কথা গুলো
                         সেই না বলা "নীল কিশোরীর" গল্প।