মনে আছে? বসন্ত সন্ধ্যায় একদিন বছর অনেক আগে
বাঁকখালীর ধব ধবে সফেদ বালির চাদরে আমরা দুজন,
রক্তে আগুণ লাগানো তোমার অভিমানী উষ্ণ থর থর কম্পায়মান অধর
আমার অস্থির লোভী দৃষ্টি, অভিমান ভুলে মিলনের ব্যাকুলতা-
গোধূলির সোনা-রোদে ভরা সেই সন্ধ্যার একমাত্র সাক্ষী
বাঁকখালীর শান্ত স্রোত কেমন উপেক্ষায় আপনমনে
হারিয়ে যাচ্ছিল দূরে কোথাও।
                                 কত কাল আগে সে!


আমার ব্যাকুল হৃদয়ের শুভ্র মিলনাকাঙ্ক্ষা, উৎসুক নদীর জল
হয়ত প্রেমের আশ্বাস দিতে পারেনি, তাই কি
উদাসী হাওয়ার মত তোমার অভিমানী ক্ষোভ
আমার হৃদয়ে বিষাদের বাঁশি বাজিয়ে
বাতাসে ভেসে মেঘ-বৃষ্টির মন্ত্র দিয়েছিল তোমায়?
মুহূর্তেই মুগ্ধ গোধূলি বিস্ময়ে হতবাক-
প্রণয় সুরে ভরা সোনালি ক্ষণে বৈশাখী ঝড়ের তাণ্ডব দেখে
ঐ রূপ তোমার দেখেনি কখনো আগে!


আমার ব্যথিত নির্মল প্রাণের অসহায়ত্ব দেখেই
জানি ঘর ফেরা অচেনা পাখি, সম্বলহীন মাঝি
অবিস্মরণীয় সুরে সেদিন গেয়েছিল মন ভোলানো গান
কতকাল আগে সে, বসন্ত সন্ধ্যায় একদিন বাঁকখালীর বুকে!