প্রথম দিন যখন বলেছিলে
         "এসো নীল আলোর মত কোমল হাতটি ছোঁয়ে দেখ একবার
           তোমাকে মর্তলোকের স্বর্গ চিনিয়ে দেব
           পঁচিশ বছর ধরে তিল তিল করে ফুটিয়ে তোলা ভালবাসার রঙ্গিন জোছনায়"
এত্ত বড় প্রলোভন পায়ে ঠেলব! কবির পুরুষ হৃদয় নিশ্চয় ইস্পাত নয়।


সেদিনও আমায় নিয়ে আহ্লাদে শ্রাবণে ভিজতে ভিজতে
দুর্লভ হেলেঞ্চার ফুল দেখে বলেছিলে
"দেখ দেখ ঠিক যেন আমার গোলাবি ভালবাসা"
যেই তুলে নিয়ে গন্ধ শুঁকব অমনি বাধা দিয়ে বললে
"ওখানেই থাক দেখুক সবাই কি ধন লুকিয়ে আমার অন্তরে"
আবেগে মুগ্ধতায় আপ্লুত হয়ে ভেবেছি
হায় যদি আমিও ফোটাতে পারতাম অনন্য অনুপম ভালবাসার ফুল!


যেদিন রিকশার টুংটাং শব্দে তোমার ছোঁয়ায় খুশিতে আত্মহারা হয়ে
হাসনাহেনার সৌরভে মাতাল কবিতা গুলো একে একে
উৎসর্গ করছিলাম তোমার কানে স্বর্গীয় ছন্দে সাজিয়ে,
হৃদয়ে হাজারো ফুলের দোলা দেখেছিলাম সেদিন
মানবজাতি দেখেনি যা কখনো, তোমাকে বলতেই বললে
"একদম ভাল লাগেনা শুধুই ঘ্যান ঘ্যানানি, আর বার বার ঐ হাফিজ চত্বর
জান! রাজু রিমাকে মার্সিডিজে চড়িয়ে ডেটিংয়ে যায়
চাইনিজ-থাইফুড খেয়ে আসে সপ্তাহান্তে"
তোমার স্পষ্ট ইঙ্গিত, চোখে মুখে চাহিদার চাপ।
তুমি বুঝলেনা, রাজুরা পারে বটে নিত্য নতুন মার্সিডিজ হাঁকাতে
কিন্তু পারবে কি আমার মত ভালবাসার বাগান সাজাতে?
তোমায় বললাম
"শুধু তুমি পাশে থেক, দেখবে একদিন সব হবে",


অজ্ঞাত ভবিষ্যতের ঝুঁকি তুমি নিলে না
আমারও স্বর্গ দেখা হল না............