এই সুবর্ণ পৃথিবীর আঙ্গিনা জুড়ে খেলা করে অনন্ত সুখ শান্তি
চড়ুই পাখীর মত চঞ্চল, দুষ্ট বাছুরের মত দুরন্ত, প্রকৃতির মত বহুরূপী।
আদি কাল হতে মানুষের কায়াহীন ছায়ায় বেড়ে উঠা নীল হাত
ফাঁদ পেতে আছে, আজ বিস্ময়কর বিস্ময়ে চেয়ে দেখি
মহাশূন্য হতে অতল হিমাদ্রির তলে তার বিস্তার!


কৃষ্ণ গহ্বরের মত আকাঙ্ক্ষা এক একটি প্রাণে
অপরিমেয় সে এক অতুল অসংজ্ঞায়িত টান বটে
সময় স্রোতে কুঁড়িয়ে নিয়ে অমূল্য সব সুখের ধন
আনন্দের স্বর্গে কাশফুলের ডগায় হাওয়ার মত দোলে।
                                         তাই দেখে আশীর্বাদ দিতে দিতে হাসে প্রকৃতি।


প্রশান্ত এই পৃথিবীর বুকে তবু কিছু অমানুষের দৃষ্টিহীন হাত
আলো ভেবে আঁধার টেনে আনে হিংসার আগুণ জ্বালিয়ে,  
শুষ্ক সাইমুম ঝড়ে তৃষ্ণার ব্যাকুলতা বেড়ে উঠে আনন্দের স্বর্গে,  
দুঃখের কালো দানবের তাণ্ডবে দিশাহীন সারি সারি সুখ মিছিল
নারকীয় যন্ত্রণায় ভালবাসার ছোঁয়া পেতে ছট ফট করে
                                                 প্রচুর হয়ে উঠা বসন্ত সন্ধ্যায়।


আমরা মানুষ, আমরা শ্রেষ্ঠ, আমাদের হাতের মুঠোয় আছে সুখের স্বর্গ
অমানুষের ক্ষণিকের নারকীয় তাণ্ডবে মরে না আমাদের প্রাণ
অকৃপণ প্রকৃতি মায়ের ঢেলে দেওয়া প্রেম-সুধা পিয়ে গর্জে উঠি বার বার।
শুভ্র মেঘের সৌরভে সাজাই ভালবাসার ঘর অনন্য প্রেমের ফুলে।