ওরা সময়ের গভীর থেকে আরও গভীরে ডুবে
আলোর ভেতর লুকিয়ে থাকা ফোটন কণার রহস্য জেনে
ভয়ংকর হতে আরও ভয়ংকর মরণাস্ত্র সাজায়-
হুঙ্কারের জোরে আঁধারে ডুবিয়ে রাখে মানুষের মানবিক চেতনা।    
পদার্থের ক্ষুদ্রাতি ক্ষুদ্র কণার শক্তির জোর চিনিয়ে দেয়
পৈশাচিক উন্মুক্ত আগ্নেয়গিরি রচনা করে!  
ওরা মানুষেরই রক্তের সাগরে আমগ্ন নিমজ্জিত থেকে
বুভুক্ষা শরীরের ঘাম ঝরানো সম্পদ ভিত্তি করে
অপ্রতুল নগ্ন অভিজ্ঞতায় মহাশূন্যে পদ চিহ্ন এঁকে দেয়,
কৃষ্ণ গহ্বর জয়ের স্বপ্ন দেখে!
অথচ অনাহারে অর্ধমৃতের সারি দিনে দিনে বাড়ছে-
ওদেরই হাতে মানবতার একপেশে নিক্তি শূন্যে দ্যু-দুল্যমান
তবুও আজ তারাই মানুষ! পৃথিবীর বুকে সভ্য জাতি!  


পৃথিবী আজ এক বীভৎস কঠিন রূপসীর রূপে দাঁড়িয়ে-  
যেখানে অকালে মৃতের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে,
সীমান্তের কাটা তারের তীক্ষ্ণ ফলা সাজিয়ে
মিথ্যা বিশ্বায়নের প্রতিরূপ অথবা ফসল
মানুষের আহাজারিতে সন্ত্রস্ত বায়ু মণ্ডল।
ক্ষুধার রাজ্যে বাড়ন্ত খাদ্যের জরা-জীর্ণ স্বপ্ন
রৌদ্রের খর প্রতাপের মত তৃষ্ণার্ত মানবতা।