নিষ্ঠুর পৃথিবীর উদার আকাশের নিচে ধীরে ধীরে বেড়ে উঠে নীর,
সময় জানিয়ে দেয় নীর আর ছোটটি নেই
তারার আলোর নীল শোভা হাসে শরীরের ভাঁজে ভাঁজে-
দেহের পরিবর্তন গুলো অবাক চোখে দ্যাখে সে,
সময়ের তাগিদে পাল তুলে দেয় মনের ডিঙি নৌকায়-
হাজারো স্বপ্নিল রঙ স্বপ্নখেলায় মেতে উঠে তার স্বপ্নের মোহনায়
আর গভীর আবেশে জোছনার বৃষ্টিতে ভিজে
                                              বসন্তের প্রশান্ত প্রজাপতির ন্যায়।


নারকীয় অভিশাপের মত তন্দ্রা ভাঙ্গে নেশাতুর ইতর শ্রেণীর,
অবাক বর্বর চোখে দ্যাখে সেই ছোট্ট নীর আজ কেমন ডিঙি হয়েছে!
শকুনের খুনি দৃষ্টির লোভাতুর মোহ আগুনের মত জ্বলে জ্বলে উঠে,
কর্কশ প্রেমা'বেদনের প্রচণ্ড যন্ত্রণা ভীত-সন্ত্রস্ত করে তুলে তাকে
প্রতিবাদে সজাগ হয়ে উঠে নীরের শ্যামল কোমল নির্মল স্বাধীন সত্ত্বা,
তার শুভ্র প্রেম খোঁজে গোধূলির মত প্রসন্ন হৃদয়।  
এদিকে ইতরের শরীরে ক্রমে হিংসায় জ্বলতে থাকে
                                            ছন্নছাড়া ক্রোদের লেলিহান শিখা।


একদিন অকস্মাৎ শতাব্দীর হিংস্রতম নাগাসাকি জ্বলে উঠে নীরকে ঘিরে-  
হাসনাহেনার ফুলেল সৌরভের মত কোমল শরীরে
                                                    পোড়া মাংসের তীব্র গন্ধ!
সূর্যের নতুন আলোর প্রভার আদুরে হাত ধরে
সাজানো নতুন জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত পুড়ে পুড়ে যায়
                                                     এসিডের বিধ্বংসী আগুনে,
কৈশোরের শুভ্র স্বপ্নের সাগরে নিত্য নতুন নীল রঙ লাগা স্বপ্নগুলো
অসহনীয় নির্মম অমানুষিক নারকীয় যন্ত্রণায় একাকার।
তাই দ্যাখে শান্তির নিঃশ্বাস টানে দুই পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা
                                                              কিছু আজব জন্তু!


ধিক্কার এই সমাজকে, সমাজের মানুষের মাঝেই তাঁরা বেঁচে থাকে
ধিক্কার এই সভ্য(!) সভ্যতাকে, আজো হাজারো নীর পৈশাচিক যন্ত্রণায় বাঁচে,
ধিক্কার সরকারকে নীরদের নিশ্চিত ভবিষ্যতের নিশ্চয়তা দিতে পারেনা-  
আজ অশ্রুভেজা চোখে ঘৃণিত ধিক্কার জানাই, শুধুই ধিক্কার!