উৎসর্গ ; আসরের শ্রদ্ধেয় কবি 'দীপঙ্কর' কে


দীপঙ্করদা কবিতার আসরের দুর্লভ কিছু কবির মধ্যে অন্যতম যিনি তাঁর কবিতা প্রকাশ না করেও প্রায় প্রতিদিন আসরের কবিতা পড়েন এবং মূল্যবান মন্তব্য দ্বারা সমসময় অনুপ্রাণিত করেন। উনার এমন কবিতা প্রেমী হৃদয় এবং আসরের প্রতি উনার ভালবাসা আমাকে বার বার মুগ্ধ করে। আজ প্রায় একমাস হয়ে গেল উনার কোন নতুন কবিতা আমরা পাইনি, সেদিন উনাকে নতুন কবিতা দিতে অনুরোধ করলে উনি জানান 'কবিতা ধরা দিচ্ছে না'। মাঝে মাঝে এমন হয়, অনেক বড় বড় লেখকেরও এমন হয়েছে। সাময়িক ভাবে হঠাত লেখনী থেমে যায়।  


বিধাতার কাছে প্রার্থনা করি দীপঙ্করদা যেন আবার তাঁর ক্ষুরধার নতুন কবিতা আমাদের উপহার দিতে পারেন।  


একটা কবিতা লিখব বলে
সুনীল আকাশের গভীর নীল হাতের মুঠোয় ধরে
বিকেলের হলুদ আলোর পথে হেঁটে হেঁটে
বর্ণালী স্বপ্নের রঙে সাজাই স্বপ্নিল রঙধনু,
একটা কবিতা লিখব বলে
ষোড়শী তন্বীর নীল ভালবাসায় চুমুক দিই মরু পিপাসীর মত।
একটা কবিতা লিখব বলে
প্রজাপতির ডানায় স্থির রাখি মুগ্ধ দৃষ্টি
মন ছুটে যায় দিগন্ত ছুঁতে,
একটা কবিতা লিখব বলে
প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যাই অবুঝ শিশুর মত,
একটি কবিতা লিখব বলে.....................  


অভিধানে অজস্র শব্দের ভিড়, ঠেলা-ঠেলি চলে অবিরত
আমার মস্তিষ্কের কোষেও কম জমা নেই,
কাগজ কলম নিয়ে বসি আমি একটি কবিতা লিখব বলে
এক এক করে শব্দের পিছু ছুটি অদম্য ইচ্ছাশক্তির জোরে,  
ধরে ধরে একের পর এক সাজিয়ে গড়ে নেব
কোন এক কবিতার  'সোনার তরী',
তারপর ভাসিয়ে দেব অজস্র কবিতার ভিড়ে কাব্যের সাগরে।
কিন্তু শব্দেরা আজব বিদ্রোহে মেতে উঠেছে!
বর্ষার যুবতী নদীর মত দুরন্ত শব্দের স্রোত
ছুটে আসে একসাথে, ভাসিয়ে নিয়ে যায় আমার ভাবনার কারখানা।  
অসহ্য যন্ত্রণা প্রহার করে বিষম,
বিনিদ্র রজনীর শীতল ছায়ায় ছটফট করি আমি।
তবু একটা কবিতা লিখব বলে
সকল বাঁধা উপেক্ষা করে সকল যন্ত্রণা পায়ে ঠেলে
বার বার নতুন করে স্বপ্ন দেখি, পাই বাঁচার প্রেরণা।