জানলার ওপাশে মুক্তি-আদুরীর স্বর্গ...  
হাত বাড়ালে খেলে যায় আনন্দের শিহরিত ধারা-
কেঁপে উঠে চোখের পাতা... দৃষ্টিতে পরিপূর্ণ পূর্ণিমা...
পাখিরা উড়ছে, রোদের সাথে ছোট্ট শিশুটি হাসছে
ঐ দুই কিশোরীর আহ্লাদ স্বপ্ন বিকেল কোলে নিয়ে ...
আদুরীর শীর্ণ ঠোঁটে খেলে প্রথম দিনের চাঁদের রেখা;
মাত্র কয়েক পলক......তারপর কচি হৃদয়ে ভূমিকম্প...
চোখে নামে আটলান্টিক.........  


জানলার এপাশে গভীর জঙ্গল
ছোট্ট আদুরীকে ঘিরে তিন তিনটি আজব বিড়াল!
হিংস্র ইঁদুর বিড়ালের খেলা চলে অহোরাত্র,
কখনো ধারালো নখ অথবা ক্ষুর শোঁকে নেয় আদুরীর রক্তের ঘ্রাণ,
কখনো চরম উত্তপ্ত ইস্ত্রির দহন...
আদুরীকে নরক চিনিয়ে দেয় প্রতি সেকেন্ডে!!
কখনো...... না আর বলতে পারিনা......


একদিন আদুরী ডাস্টবিনে......
কীটের সংসারে মুমূর্ষু মানব শিশু যমের কোলে!!!
যমের হৃদয়ও কেঁপে যায় দ্যাখ!
কিন্তু মানুষ!!.........
আরো কত আদুরীর শৈশব এমন হারিয়ে যাবে?
আরো কত আদুরীর বিনিময়ে ফিরবে আমাদের চৈতন্য??
আরো কত যুগ? সভ্যতার আরো কত উন্নতি চাই?


শাহবাগ তুমি কি পারনা আদুরীদের পাশে দাঁড়াতে?
তুমি কি পারনা এই আজব জন্তুর চিহ্ন মুছে দিতে?
শাণিত  কন্ঠে উচ্চারণ করতে আমি থামবনা-
যতক্ষণ না বাংলাদেশে মানুষ নামের একটি জন্তুও অবশিষ্ট রবে।
আমি থামবনা যতক্ষণ না বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত হয়।
জেগে উঠ শাহবাগ, জেগে উঠ বাংলাদেশের মানুষ।



কয়েকদিন আগে পত্রিকায় আদুরীর সংবাদটি পড়েছিলাম, মা ও দুই মেয়ে মিলে তাকে এমন অত্যচার করেছিল......... একদিন মৃত প্রায় আদুরীকে ডাস্টবিন থেকে উদ্ধার করে এক মহৎ পুলিশ অফিসার এবং নিজ উদ্দেগে হাসপাতালে ভর্তি করে............  পুলিশ মাকে গ্রেপ্তার করে, যথারিতী মা অন্যের উপর দোষ চাপায়, বলে তিন মাস আগে আদুরী চুরি করে পালিয়ে যায়, তার শত্রু পক্ষ আদুরীকে অত্যচার করে তার উপর দোষ চাপাচ্ছে............ আমাদের পরিচিত ডাইলগ...... আমরা জানিনা কে দোষী...... কিন্তু বাংলাদেশকি পারবে দোষীকে শাস্তি দিতে? হাজারো অত্যচারিত আদুরীর শৈশব ফিরিয়ে দিতে? আমরা কি পারিনা আদুরীদের পাশে দাঁড়াতে? আদুরীদের কথা বলতে? কেন অপেক্ষা করতে হবে মানব সঙ্ঘটনের?