হামাস শিশুরা হামাগুড়ি দেয়
গাজা ভুখন্ডে।  
শিশুরা হামাগুড়ি দেয়
সারা পৃথিবীতে।
শুধু ইজ্রায়েলের রকেট
হামা দেয়া শিশুদের তারা করে ফেরে
গাজায়।


সারা পৃথিবীর  শিশুদের কাছে
ক্রিস্টমাসের শীতে উপহারের ঢের নিয়ে
সান্টা ক্লশ আসে।
গাজার শিশুদের কাছে আসে রেড ক্রশ।
কম্বল নিয়ে ওষুধ নিয়ে আর
সাথে কিছু দুধ রুটি মাংস ।


ছবিটা বিশ্ববাসীকে নাড়া দেয়।  
ওদের দেশে নাকি ভগবান যীশু জন্মেছিলো !
জন্মেছিলো আলাতালার দূত নবী হজরত!
কোথাও ধর্ম কোথাও জাত-পাত কোথাও রাস্ট্রনীতি
প্রতিহিংসার পারস্পরিক প্রতিযোগিতার
নাম দেশপ্রেম রাজনীতি।


জমির দখল, দখলের সীমান্তরেখা,
দাবাও দাবো দমনের দিগন্ত রেখা।
মিসাইলের লক্ষ্য থাকে গরীবের গ্রীবা
নারীদের নূর ও শিশুদের শির,  
যুদ্ধ বলো অথবা প্রতিরোধী রোশ
মৃত্যু আর ধর্ষণের সফল জ্যামিতি।
নিরপেক্ষ অভিভাবক ধর্মগুরুদের
শান্তির বানীতে ঝরে ব্যক্ত পরিহাস,  
মুনাফার গন্ধে হাসে বন্ধ্যা পুঁজিবাদ ।
আর আন্তর্জাতিক মহাসঙ্ঘ ?
গরিব ইরাকে আতঙ্কবাদী খুঁজে পান।
ইজ্রায়েলে নয় ?


আমার ভয় করে।
খুন ধর্ষণ নারী নিধনের ইতিহাস লিখতে
আমার ভয় করে।


ধর্ষণজাত জারজের দায় কেউ নেয় না
ভরতুকির দায়িত্বটা নেয় ধর্মগুরুরা।
ধর্ষণজাত না হলে এত লুম্পেন জন্মাবে কি করে?
কোন মা চায় তার সন্তান কুলাঙ্গার হোক!  
প্রশ্নগুলো বিশ্বের বিবেকে সাড়া জাগায় না।
এদের দেশেই নাকি মানবতাবাদের জন্ম হয়েছিল !


আরো বেশি নারী নিধন ,
শিশুদের ভবিষ্যত লক্ষ্যহীন ,
বাড়ী ছাড়া বাবা-মা,
স্বামী-স্ত্রী ভাই-বোন সব অর্থহীন।
প্রতিবাদের তুচ্ছ অজুহাতে
আমার মতো অনেকের কাছে গাজার ছবিটা
আমার মাতৃভূমিতেও মূর্ত হয় কি?