কাঁদতে দিও না
না দিয়ো না, কাঁদতে দিয়ো না
যতই থাক্ দুঃখ জ্বালা-যন্ত্রণা-
বরণ করতে দাও অকাতরে
এ জীবন-জ্ঞানের সহ্য মন্ত্রণা,
না! কখনোই আমাকে ব্যর্থতায়
কাঁদতে দিয়ো না ।


অনেক দুঃখের স্রোতে ভেসে যাবে জ্বালা
শত কষ্টের রুক্ষ বনাঞ্চল পথে
যতই পরি না বঞ্চনার মালা-
চক্ষে দিও উদাসীন কঠিণ ভাবনা
ঘাম হয়ে ঝড়ুক যতই রক্তের ঝরণা
মৃত্যু হাতে নিয়ে চলতে দাও
যতই থাক্ উপহাসের বন্দনা,
না! কখনোই আমাকে ব্যর্থতায়
কাঁদতে দিয়ো না ।


পরিশ্রম আর কষ্টের অনুভব
তলিয়ে যাবে না অশ্রুজলে
হারবে শুধু বিজয়ের বাসনা
দিশাহীন গৌরবে বিজিতের অঞ্চলে,
যারা কাঁদাচ্ছে -মুখে যাদের হাসি
তাদের উল্লাস একদিন হবে বাসি
রাস্তার ধূলায় মিশে যাবে কামনা
যতই হোক না ক্ষিপ্র অভাবের যন্ত্রণা
না! কখনোই আমাকে ব্যর্থতায়
কাঁদতে দিয়ো না ।


কার হয়না আশার ছন্দ পতন!
কার হয় সংসার মনের মতন!
তবু ও চলে জগতের চাকা
গতির স্রোতে আঁকা-বাঁকা,
তোমার আমার ধনী গরিবের
যতই থাক তাদের অসম-যাত্রা
জীবনের ফল কখনো যাবে না ফেলা
কর্মে রয়ে যাবে জীবনের মাত্রা।
অশ্রুজলে কোরোনা কর্মের পথ সিক্ত
যতই অন্তর থাকুক অন্তরে-বাহিরে বিভক্ত
শত চিন্তায় শুধু ভরে যাক্ তোমার করুণা,
না! কখনোই আমাকে ব্যর্থতায়
কাঁদতে দিয়ো না ।


আজকের বিজয় তো চোখে দেখা উপখ্যান
অন্তরের ব্যথা শুধু অনুভবের স্থান
যন্ত্রণার কথা কাউকে যায় না বোঝানো
এ যে জীবনের নাট্যশালা প্রলাপের
কেউ শুনবে কেউ কাঁদবে তামাশায় হাসবে
কোথাও জবাব নেই কারো কখনো -
কেন যে জগৎ এত অপ্রসন্ন আন্তরিকতায়
তবুও জীবন ছাড়ছে না বাঁচার বায়না
না! কখনোই আমাকে ব্যর্থতায়
কাঁদতে দিয়ো না ।


সহনশীলতার দূর্গে হাঁটতে হাঁটতে এখন সাবলীল
জীবনের অর্থ পিছন দিকে ফিরিয়ে মুখ
অগ্রসরের পথে এগিয়ে আসছে অশ্রুহীন কান্না,
ভালই আছি-খ্যাতির পিঠে পিঠ রেখে একাকী
ব্যার্থতার ক্লান্তি খুঁজছে-কোথায় কী আছে বাকি
তবুও জীবন ছাড়ছে না বাঁচার বায়না
না! কখনোই আমাকে ব্যর্থতায়
কাঁদতে দিয়ো না ।