(৭)
বাসা থেকে সকালে হাঁটতে বেরিয়ে
মনে চায়ের তেষ্টা বাড়ে,
এদিক ওদিক সেদিক চেয়ে
ঘুম ভাঙাব রং চা খেয়ে।
অবশেষে কিছু দূরে গিয়ে,
চোখে পড়ল দোকান,
দৌড়ে গিয়েই অর্ডার দিয়ে
বেঞ্চে বসে পড়লাম সটান।
কিছুক্ষণ পর চা এল,
রংটা ভারি কালো,
বললাম দোকানীকে
ঐ তোর রং চা কোথায় গেল?
সে বলল ভাইয়্যা এটাই তো রং চা,
আপনি কী কন?
প্রত্যুত্তরে বললাম রং চার
এমন কেন রঙ?
প্রশ্ন শুনেই হঠাত করে বেজায় চটে গেল,
রাগের বশে জোরে জোরে অনেক কিছু বলল।
পরে বুঝলাম আগের ছেলেটা এখন আর নেই,
নতুন চায়ে তাই আর সেই লাল রঙটা নেই।
(৮)
তুমি এলে যাযাবর পাখি হবো
বাঁধমুক্ত ঢেউ...
জ্যামিতিক রেখায় পাপী হবো
তোমার গোলাপ বিলে ডুব সাঁতারে..
তুমি এলে বেপরোয়া
ভালোবাসায় থমকে দেব রোদের দুপুর..
পাখি ঠোঁটে ছুঁয়ে দেব
শীতল ছায়ার প্রজাপতি পালক।
তুমি এলে
প্রিয় গানের ভেতর খুঁজে নেব
ছেড়ে যাওয়া ট্রেনের বিদগ্ধ আর্তনাদ।
(৯)
মৌচাকের মোড় হয়ে গেছে সাফ
তবু মনের ভিতরে জন্জাল
যখন তখন যায় ফসকে আমাদের
মন মাথা হৃদয়ের হাল।।
।
।
তবু মিথ্যে হয়ে যায় হঠাৎ করে
তোমার আমার চোখের জল
কারণ এখান থেকেই শুরু তোমার আমার
সোনার কেল্লার অভিযান
এখান থেকেই শুনতে পাই আনান ভিখারির
তিন পয়সার পালা গান।।
।
।
এ যতই জ্বালাক, এ যতই পোড়াক
ভুলিয়ে দেবে সব ব্যর্থতা
এযে অন্য কোথাও নয়, অন্য কোন দেশ
তোমার আমার ছিন্ন শহরটায়...