শেষমেশ তুমি চলে গেলে অমোঘ আহ্বানে সাড়া দিয়ে
জানতাম চলে যাবে তুমি; শুধু তুমি কেন,
আমিও চলে যাব একদিন, আর যারা আছে পৃথিবীতে
এবং যারা আসবে মহাপ্রলয়ের শেষ শঙ্খ ধ্বনি পর্যন্ত।
সব্বাইকে একদিন মিলিয়ে যেতে হবে অনিবার্য শূন্যতায়।
তবে কেন যেন মনে হল বড্ড তাড়া ছিল তোমার.....


এখনো আমার আঙুলের ফাঁকে যেন আটকে আছে
ইনসুলিনের চিকন সিরিঞ্জ
আর অনুভূত হয় প্রতিমুহূর্তে
বাঁহাতের কব্জির পাশ ঘেঁষা ফিশ্চুলায় দুরন্ত রক্তস্রোত
আমার হাতের আদরে যেন এখনো লেগে আছে
তোমার বুকের যত সাদাকালো লোমের শিহরণ।
ঠিক আগেকার মত আজো দু'চোখে ভাসতে পাই
তোমার উদ্দীপ্ত ঠোঁটের ঈষদুষ্ণ শাসানি
কিংবা অপ্রকাশিত ভালবাসার গোপন দুর্বলতা।


শেষমেশ তুমি চলে গেলে মায়াহীন প্রতিবিম্বহীন সংসারে
যেখানে তুমি যাবেই জানতাম। শুধু তুমি নও.....
পুরো পৃথিবীই একদিন পা বাড়াবে যে যার নির্দিষ্ট সময়ে
তোমারই অনুকৃত পথের সাওয়ারি হতে।


সেদিন ১৬ই জুন ২০১৪ইং সন্ধ্যে ঠিক ছ'টা
মেডিল্যাণ্ড হাসপাতালের সি সি ইউ এর কোমল বিছানায়!
তোমার অন্তিমশ্বাসের সাক্ষী হতে পারিনি আমি কিন্তু।
বুঝতে পারিনি তুমি তখন ঘড়ির কাঁটায় উল্টো সময় গুনছিলে


তুমি চলে গেলে নিবিড় নিস্তব্ধ অকৃত্রিম শূন্যতায়
মিশেগেলে তাড়নাহীন আবেগহীন নিঃসঙ্গতায়।
বড় তাড়াতাড়ি চলে গেলে তুমি, মনে পড়ে প্রতিক্ষণ
তুমি যে গেঁথে আছ বাবা হৃদয়ের প্রতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে।


(বিঃদ্রঃ   এই কবিতাটি আমার  প্রয়াত বাবা  'আইন উদ্দিন  মজুমদার' এর নামে উৎসর্গ করলাম। যিনি গত ১৬ই জুন ইহলোক ত্যাগ করেছেন।)


রচনা---- ১২/১২/২০১৪ইং
জুয়েল