আমাদের ভাগ্যাকাশে যখন মৌসুমী চেতনা ব্যবসায়ীর
করাল নিষ্ঠূর থাবা,
সাম্রাজ্যবাদী মানবতার বেপারী
চকিত সুযোগে,
ক্ষমাহীন উদাসীনতায়,
ঠুলি পড়া চোখের ঝাপসা দৃষ্টিতে
কালো চশমা এঁটে
বিবেকহীন নরমুন্ডরে লয়ে খলবল হাসে।
পূর্ব দিগন্তে যখন নতুন সূর্য নয়, উদিত হয়
প্রচ্ছন্ন গোলামীর ক্রূঢ় অট্টহাসি।
নিদারুন আক্রোশে, নখর আঁচড়ে উপুর্যপরি ক্ষত
-----সারা গায়, বিপন্ন স্বত্ত্বায়। অশ্লীল জিঘাংসায়।
ধান্দাবাজ বহুজাতিক লোভ আমাদের অনৈক্যের সুযোগে,
ফেরী করে নাবালক মানবতা।।
বুভুক্ষুর লেবাসে আত্নকলহে মত্ত,
চেতনার খরিদ্দার
বিহবল জনতা। ত্রস্ত, চকিত পলায়নপর।
আর একদল,
মৃতদেহ সৎকারের অপেক্ষারত হৃদয়হীন জল্লাদ,
দোজখের দরোজায় করাঘাত করে। পূর্বজন্ম পরজন্ম একাকার।
একজন মোহগ্রস্থ কবির প্রস্থানে
অন্ধকার যুগে ছায় গোটা বিশ্ব।
নখ দন্তহীন ভাগ্য বিধাতার অনাস্থায়,
আমজনতা নিঃস্ব।
তবু তুমি লিপ্ত থাকো,
প্রাগৈতিহাসিক মহারণের মরা খুলি সন্ধানে।
সুযোগে নরকের দজ্জালেরা লোটে মজা,
অশ্লীতার উদ্যানে।