একটা জীবনে ঠিক কতটা যাওয়া যায়?
কতটা সাধনায় জীবনকে পাওয়া যায়?
ঠিক কতটা কম্প্রোমাইজ করলে ভাল থাকা যায়?
’কম্প্রোমাইজ”-নাহ, এটি ঠিকঠাক শব্দ নয়।
কতটা পুড়লে হৃদয়টিকে খাঁটি বলে সার্টিফায়েড বলা যায়?
সার্টিফায়েড! খুব চোস্ত একটা শব্দ উচ্চারন করলাম, তাই নয়?


আর কতটা যেতে হবে পথ?
ঠিক কোথায় সমাপ্ত হবে এ অবিরাম চলা?
ঠিক কী করতে চাচ্ছি আমি বা আমরা?


কী হব অদুর ভবিষ্যতে? কবি? প্রাবন্ধিক? নাকি সফল স্বামী?
কিংবা হতে পারি একজন পতিতার দালাল। নারীর সম্ভ্রম বিকিকিনির
মধ্যস্ততায় একরাশ চকচকে নোট দু’হাতে ধরব।
সিনেমার টিকিট কাটার ছোট্ট ঘুমটি ঘরের কেরানী হতে পারতাম। রোজ
সকাল সন্ধায় রুপের রূপালী ঝলকানির সওদা বেঁচতাম।


বা একটা লোকাল বাসের হেলপার
যে সকাল সন্ধা স্বপ্নচারী মানুষকে স্বপ্নের গন্তব্যপথে
ভিড়ের বাসের ঘাম গন্ধে ঠাসাঠাসি করে
নিয়ে যায় নিয়ে আসে। হতে পারতাম তা না হলে
নাগরিক পার্কের বাদাম ফেরিওয়ালা
স্বপ্নের ফেরিয়ালা নয়। সে অনেক কাব্যিক হয়ে যায়,
স্বপ্নহীনেরা কী করে স্বপ্ন দেখায়?
না না, সে কী করে হয়?


হতে চেয়েছিলাম একজন সামান্য মানুষ
রোজ জীবনটা হত একইরকম।
সেখানে কোনো তরঙ্গ থাকত না, শুধূই
জীবনের জন্য জীবন কাটানো।
সেই জীবনে কোনো কিছুর তাড়া নেই, কারো জন্য দাড়ানোর বা,
অপেক্ষার জ্বালা নেই।
সময়টা যাবে নিস্তরঙ্গ, একঘেয়েভাবে কাটবে দিন রাত
জীবন আজ নিস্তরঙ্গ বটে, তবে অন্য কোনোভাবে
সেভাবে, ঠিক যেভাবে ভাবিনি কখনো।


কত কথা আসে মনে
এলোমেলো দু’লাইন লিখলেই মনে হয়-
সব লেখা হয়ে গেল আর কিছু নেই লেখার।
ঝাপসা একটা ভাবনার রেখা
ধোঁয়াশার মতো আসি আসি করে; আসে না।
তাকে বোঝা যায়, ছোঁয়া যায় না।
ভাবনায় আসে, উচ্চারনে নয়; স্বরে ভাসে পঙক্তিতে নয়।