আজ বহুদিন পর, পুরোনো স্মৃতি ঘাঁটতে গিয়ে
সন্ধ্যার আবছায়ায় তোমার হাত ধরে বসে থাকার
সাদা-কালো একটা ছবি
মনের অ্যালবাম হতে টুপ করে খসে পড়ল
আলগোছে, আমার অজান্তেই।
কোথায় কোন ভাঁজে চুপটি করে ঘুমিয়ে ছিল এতকাল।
অনেকদিনের অব্যবহারে বইয়ের পাতায়, মলাটে
বা পুরানো বালিশে যেমন একটা চাপা গন্ধ হয়, ধুলো আর বিস্মৃতির মিশেলে
মনের অ্যালবামে তোমার ছবিটাও তেমনি
কেমন মলিন, হলদেটে হয়ে গেছে।
কিছু মনে কর না যেন আবার।
আমি কিন্তু ঠিক গুছিয়ে বলতে পারিনা কিছু
শুধু মনের অলস কল্পনার
একটা ধোয়াশা বর্ণনা দিতে পারি।


একটা একটা করে গুছিয়ে মনের ছোট্ট কৌটোতে
পুরে রেখেছি তোমার জন্য লেখা এগারোটা সম্পূর্ন পদ্য
অসম্পূর্ণ সাতটা গদ্য।
তাদের রুল টানা কাগজে প্রষ্ফুট করার ফুরসত বা সাহস
কোনোদিন করে উঠতে আর পারলাম না।
খালি করব করব ভাবতেই দিনগুলো চলে যায়
কি এক বিশ্রি আলসেমিতে পেয়েছে আজকাল, জানো?
কিছু একটা করব ভাবলেই রাজ্যের ক্লান্তি এসে ভর করে
পায়ের বুড়ো আঙুল হতে তালু অব্দি।
চোখ মুদে আসে প্রশ্রয় পাওয়া অবসন্নতায়।
সামনের টেবিলে পড়ে থাকে বল পয়েন্টটা
হাতে তুলে দু’টো ছত্র লেখার শক্তি সঞ্চার করতে পারিনা।
দু’লাইন লিখলেই মনে হয় সব লিখে ফেললাম। অথচ
কত কী বলতে মনে চায়, কত কথা মনে হয়।


আমার ধুসর অতীতের এক কোণে
ছায়া হয়ে পড়ে আছ তুমি অচ্ছুৎ, অধরা
দুঃস্বপ্নের কালো চাঁদর দেহে।
কেউ সহসা আসে না সেই পরিত্যাক্ত গহীনে
ঢুঁ মেরে জেনে নিতে বিত্তান্ত কিছু।
শুধু স্মৃতিরা আসে।
চুপি চুপি পায়ে, পাছে ঘুম ভেঙে জেগে ওঠে
মলাটের ভাঁজে জমানো কষ্টের ঘুনপোকারা।
আমি কিন্তু এই বেশ আছি।
যখনি কেউ শুধায় “কেমন আছ”?
বলি আমি আগের মতোই আছি
আগের ঠিকানায়ই আছি।