বিকেলের পড়ন্ত রোদের কাছ থেকে
একঠোঙা আনন্দ কিনেছিলাম
অস্ত রাগিনীর বিনিময়ে
দামটা একটু চড়া তবে একদম নিখাঁদ আনন্দ।
আজকাল আনন্দ জিনিসটা বড্ড দুস্প্রাপ্য
বহু সাধ্য সাধনায় কচিৎ দেখা মেলে তার।


এক ডালা বিরহের অঙ্গার দিয়ে
কুয়াশাদের কাছ থেকে ঘুম দু’চোখ জোড়া
আড়মোড়া ভাঙার আড়ষ্ট আয়েস সেই সাথে।
নিজস্ব করে নিয়েছি কায়ক্লেশে।
বিনিময়ে দিয়েছি একরাশ পুরোনো স্মৃতির ধুলো।
জীবনের পরতে পরতে জমেছিল যা এতদিনে।


ঠোঁটের কোণের এক চিলতে হাসির বদলায়
আপনার করে নিলাম কিঞ্চিত স্বস্তি
বেশ সস্তা দামেই বলা যায়।
অনেকটা ছাড় দিতে হয়েছে তার প্রতিদানেে
আমার নিজস্ব জগতটাকে কিছুটা বদলে নিতে দিয়েছি
বিনিময়ে যা পেলাম
তাতে একটুও সুখ নেই, শুধুই নিরেট স্বস্তি।


প্রিয়ার কালো চোখের ডাগর চাহনির সাথে
বদলে নিয়েছি আয়নায় নিজেকে দেখার ফাঁকিটুকু
নানান সিঁথিতে নানান ঢঙে
সেই যে নিজকে দেখার ছলে একটা অদেখা আনন্দ
তাকে অকাতরে বিলিয়েছি।
নিজের বলে কিছু রাখিনি আর। সবটাই পুজার ভান্ড উজাড় করে
নৈবেদ্য দিয়েছি তার রূপের জলন্ত শিখায়।


চৈত্রের খাঁ খাঁ করা নিদাঘ আকাশের উদাসীনতাকে
শামিয়ানা টাঙানো একটা কৃত্রিম আকাশ দিয়ে পাল্টে নিয়েছি।
তাতে লাল, সবুজ সাদা কত কত রং
শুধূ আকাশের কষ্ট নীলটাই নেই। তবু যাহোক
কৃত্রিম একটা আকাশ তো অন্তত মিলল।
একটা আকাশ না থাকার অপ্রাপ্তি ছিল কতদিনের।


শুধু.....
এক মুঠো ভালবাসা ভিক্ষে নিতে
উপযুক্ত কোনো বিনিময় খুজে পাচ্ছি না।
দিতে চেয়েছিল একদা একজন
তিন কড়ি ভালবাসা, একরাশ ভাল লাগা
সাদা শিউলীর মতো শুভ্র সুখ তারও বেশী
তার বদলে আমার ভাঙা হৃদয়ের একটি কোণায়
এক চিলতে ঠিকানা পেতে চেয়েছিল
একজনই, বহুদিন আগে।
অবহেলার টুকরো টুকরো বিলাসে অবলীলায় যাকে হারিয়েছি।
হারিয়ে আজও খুঁজছি।
তারে পেলে শুধোতাম আসবে কি আরেকবার?
নেবে কি কাছে টেনে দু’হাতে করবে আলিঙ্গন?
নোনা গন্ধ বুকে ঘুমোবে মায়ায়?
আসবে কি ভাঙা মনের ছায়? এই অবেলায়?